অষ্ট ধাতুতে তৈরি চৌদ্দ দেবতার পূজা উপলক্ষে খার্চি মেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী
৩০০ বছরের পুরানো খার্চি মেলার জৌলুস কমেনি আজকেও
দ্যা ফ্যাক্ট ব্যুরো:-আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হলো রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী খার্চি মেলার। মেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা । আগামী ৭ দিনব্যাপি খয়েরপুরের পুরাতন আগরতলা এলাকায় চলবে এই খার্চি মেলা।
রাজন্য আমলে পুরাতন আগরতলা এলাকায় শুরু হয়েছিল ১৪ দেবতা পূজা উপলক্ষে খার্চি মেলা। চিরাচরিত প্রথা মেনে প্রতিবছর ৭ দিন যাবত এই খার্চি মেলা হয়ে আসছে। চৌদ্দ দেবতা মন্দিরের দেব-দেবীরা অষ্ট ধাতু দিয়ে নির্মিত। মন্দিরে পূজিত দেবদেবীরা হলেন হর (শঙ্কর), উমা (শঙ্করী), হরি (বিষ্ণু), মা (লক্ষ্মী), বাণী (সরস্বতী), কুমার (কার্ত্তিকেয়), গণপা (গণেশ), বিধি (ব্রহ্মা), ক্ষ্বা (পৃথিবী), অব্ধি (সমুদ্র), ভাগীরথী (গঙ্গা), শিখি (অগ্নি), কামদেব (প্রদ্যুম্ন) ও হিমাদ্রি (হিমালয় পর্ব্বত)। হর, উমা, হরি, তিন দেবদেবী প্রতিদিন পূজিত হন এই মন্দিরে। কিন্তু আষাঢ় মাসের শুক্লাষ্টমীতে একত্রে পূজিত হন চৌদ্দ দেবতারা।
বর্তমানে রাজ্য সরকার এই খার্চি মেলার দায়িত্বভার পালন করছে। যথাযোগ্য মর্যাদায় অনুষ্ঠিত এই খারচি মেলায় রাজ্যের দূরদূরান্ত থেকে এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পূর্ণার্থীরা হাজির হয় এই মেলা প্রাঙ্গণে। সোমবার প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এই মেলার সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন এলাকার বিধায়ক রতন চক্রবর্তী দাবি করেছেন চৌদ্দ দেবতা মন্দিরকে কেন্দ্র করে একটি ট্রাস্ট গঠন করার জন্য। এতে কোন ধরনের আইনি জটিলতা না থাকলে তা অবশ্যই করা হবে বলে আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন রাজ্যের ১৯ টি জনজাতী সম্প্রদায়ের পৃথক পৃথক সংস্কৃতি রয়েছে। এই সংস্কৃতিগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তুলে ধরা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সমস্ত দপ্তর সহযোগিতার হাতও বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে জানান তিনি। বিগত সাতদিন যে সমস্ত দর্শনার্থীরা এই মেলাতে আসবেন তাঁদের প্রত্যেককে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বিধায়িকা স্বপ্না দেববর্মা, আগরতলা পুর নগরের মেয়র দীপক মজুমদার ও অন্যান্য জন প্রতিনিধি এবং আধিকারিকেরা।
What's Your Reaction?