চা শ্রমিকের উন্নয়ন চায় সরকার, দেওয়া হচ্ছে জমি ও ঘর, দুর্গা বাড়ির চা বাগানে বললেন কৃষিমন্ত্রী

দুর্গা বাড়ির চা বাগান শ্রমিক সমবায় সমিতি লিঃ এর উদ্যোগে চা পাতার বিক্রয় কেন্দ্র এবং নতুন চা পাতা প্যাকেট বাজারজাতকরণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে শুক্রবার। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমবায় দপ্তরের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া এবং কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ।

May 23, 2025 - 23:29
May 24, 2025 - 00:22
 0  4
চা শ্রমিকের উন্নয়ন চায় সরকার, দেওয়া হচ্ছে জমি ও ঘর, দুর্গা বাড়ির চা বাগানে বললেন কৃষিমন্ত্রী
দুর্গা বাড়ি চা বাগানে চা বিক্রয় কেন্দ্র ও নতুন প্যাকেট বাজারজাতকরণের সূচনা। ছবি:- নিজস্ব

দ্যা ফ্যাক্ট :- সরকার চাইছে চা পাতা ও উৎপাদনের পাশাপাশি বিক্রয় প্রক্রিয়া আরো সুবিধা জনক হোক। এই দৃষ্টিকোণ থেকে রাজ্যে চা পাতার অকশন মার্কেট স্থাপনের উদ্যোগ সরকারের। শুক্রবার দুর্গাবাড়ি চা বাগান শ্রমিক সমবায় সমিতি লিঃ এর উদ্যোগে চা পাতার বিক্রয় কেন্দ্র এবং নতুন চা পাতা প্যাকেট বাজারজাতকরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বললেন রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ।

                দুর্গাবাড়ি চা বাগানে নিজেদের উৎপাদিত এবং প্যাকেটিং চা পাতা বিক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে শুক্রবার। ফিতা কেঁটে এই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, রতন লাল নাথ সহ অন্যান্যরা। এদিকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বলেন গোটা ভারতবর্ষে কেন্দ্রীয় সমবায় মন্ত্রী অমিত শাহর নেতৃত্বে সমবায় সংস্থাগুলো দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তার থেকে ব্যতিক্রম নয় ত্রিপুরা রাজ্য। তিনি বলেন আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগেও ত্রিপুরার পাহাড়ি মানুষ চা খেতে খুব একটা অভ্যস্ত ছিলেন না। কিন্তু বর্তমানে ত্রিপুরার উৎপাদিত চা পান করা পাহাড়ের মানুষদেরও অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। সমবায় দপ্তর বিভিন্ন কো-অপারেটিভ সোসাইটিকে সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। 

অন্যদিকে মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন ২০১৮ সালের আগ পর্যন্ত ত্রিপুরা রাজ্যের চা বাগান এবং চা শ্রমিকদের নিয়ে কোন ভাবনা ছিল না সরকারের। একসময় ত্রিপুরার শিল্প হিসেবে মর্যাদা পেয়েছিল চা পাতা এবং জুটমিল। কিন্তু ধীরে ধীরে তা লুপ্ত হতে থাকে। কিন্তু ২০১৮ সালে বিজেপি আইপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সরকার সিদ্ধান্ত করে সমস্ত চা শ্রমিকদের দু গন্ডা করে জমির মালিকানা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি মজুরি বৃদ্ধি করে করা হয়েছে ১৭৬ টাকা। রাজ্যের চা শ্রমিকরা জাতে ভালো থাকে তার জন্য সরকার এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তার ফলস্বরূপ রাজ্যে চা শ্রমিকরা ভাল কাজ করেছে। যার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে চা পাতা উৎপাদনে। ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর চা পাতা উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি আরো বলেন শুধু চা পাতা উৎপাদনের নয় বর্তমান সরকার এই চা পাতাকে বাজারজাত করা এবং বিশ্বের দরবারে তার পরিচিতি তুলে ধরার ক্ষেত্রেও কাজ করে যাচ্ছে। তিনি শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান রাখেন অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে দুর্গাবাড়ির চা বাগানের ঐতিহ্য বজায় রেখে সকলের সম্মিলিতভাবে এই চা বাগানকে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য।

এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টিটিডিসির চেয়ারম্যান সমীর রঞ্জন ঘোষ, বামুটিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান দীপক সিংহ, বামুটিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ ধনদাস, মন্ডল সভাপতি শিবেন্দ্র দাস সহ অন্যান্যরা।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow