ধর্মীয় গুরুদের সাথে বৈঠক করে ছবি বদলাতে চাইলেন ইউনূস
বাংলাদেশের ধর্মীয় গুরুদের সাথে আলোচনায় মিলিত হলেন প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ডক্টর ইউনূস
দ্যা ফ্যাক্ট :- বাংলাদেশের ধর্মীয় গুরুদের সাথে বৈঠক করলেন প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মোঃ ইউনূস। দেশের সমস্ত ধর্মীয় গুরুদের বার্তা দিলেন ধর্মীয় ঐক্য এবং শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার। অথচ ওই দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের উপর ধারাবাহিক আক্রমণের বিষয় রইল গৌণ। জানা গেছে বেশ কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গুরুরা অংশ নেননি এই সভাতে।
বাংলাদেশে দীর্ঘ বছর যাবত হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ওপর ধারাবাহিক অত্যাচার জারি রয়েছে। সম্প্রতি শেখ হাসিনার পতন হবার পর এই নির্যাতন রাষ্ট্রীয়ভাবে শুরু হয়েছে। শত শত বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া, মন্দিরে ভাঙচুর, সংখ্যালঘু মহিলাদের বলাৎকার যেন জল ভাতে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে জাতীয় পতাকা অবমাননার মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আশ্চর্য বিষয় হল আদালতের ভেতরে দাঁড়িয়ে কট্টরপন্থী আইনজীবীরা হুমকি দিয়েছে যে আইনজীবী চিন্ময় প্রভুর পক্ষে সওয়াল করবে তাকে আদালত চত্বরে গণপিটুনি দেওয়া হবে। এরপরেও একজন আইনজীবী উনার পক্ষে আদালতে সওয়াল করতে রাজি হলে উনাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরপরেও ইউনূস বার্তা দিতে চাইছেন ওই দেশে ধর্মীয় সম্প্রতি বজায় রয়েছে।
আসলে ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বর্তমানে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন যে প্রাতিষ্ঠানিকতার রূপ নিয়েছে সেই তকমা মুছার চেষ্টা এই দিনের এই বৈঠক। বৈঠকে চিনময় প্রভুর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের দাবি করা হয়েছে সংখ্যালঘু ধর্মীয় গুরুদের তরফে। পাশাপাশি এই সভার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলার চেষ্টা করেছেন অনেকেই। যদিও বাংলাদেশের এই চেষ্টাকে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার সঙ্গে তুলনা করেছেন খুদ ওই দেশের সংখ্যালঘু জনগণ।
What's Your Reaction?