অক্সিজেনের অভাবে মোহনপুর CSC-তে রোগীর মৃত্যুর, অভিযোগ অস্বীকার করলেন MOIC
শনিবার কাকভোরে মোহনপুর কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে শারীরিক অসুস্থতার কারণে আনা হয়েছে দীপঙ্কর দেবনাথকে। বেশ কিছুক্ষণ পর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ অক্সিজেনের অভাবে হয়েছে মৃত্যু। অন্যদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পাল্টা রোগীর আত্মীয়স্বজনরা চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ এনে পুলিশে দায়ের করা হয়েছে মামলা।

দ্যা ফ্যাক্ট :- আবারও অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু। দীর্ঘ ৩০ মিনিট অক্সিজেনের অভাবে ছটফট করেও জুটলনা অক্সিজেন। অবশেষে মৃত্যু হলো রোগীর। ঘটনা মোহনপুর কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে। মৃতের নাম দীপঙ্কর দেবনাথ।
গত ১৯ মে কাতলামারা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অক্সিজেন না পেয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছিল প্রদীপ কর নামে এক ব্যক্তির। মৃত্যুকে ঘিরে বিভিন্ন দপ্তর সহ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল মৃতের পরিবারের তরফে। অথচ এই বিষয়ে নূন্যতম তদন্ত নাকরেই স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বিবৃতি জারি করা হয় অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু হয়নি।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। এবার মোহনপুরের মোহনপুর কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে অক্সিজেনের অভাবে দীপঙ্কর দেবনাথ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন উনার ছেলে। জানা গেছে শনিবার ভোর আনুমানিক ৪ টা নাগাদ জগতপুর এলাকার মানিক দেবনাথকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মোহনপুর কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে আনা হয়। সেখানে ওনার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এই অবস্থাতে উনাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করে দীপঙ্ক দেবনাথের ছেলে সাগর দেবনাথ। তিনি আরো অভিযোগ করেন হাসপাতালে তিনটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ছিল। কিন্তু সেগুলো সচল ছিল না। একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার আনা হলেও সিকিউরিটি গার্ড এলে তা ব্যবহার করারযাবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন সিস্টার। এইভাবে ৩০ মিনিট থাকার পর দীপঙ্কর দেবনাথ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে অভিযোগ করলেন ছেলে সাগর দেবনাথ।
এই বিষয়ে মোহনপুর কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের এমওআইসি অলক নওয়াতিয়া বলেন অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বিষয়টা সত্য নয়। রোগীকে যখন হাসপাতালে আনা হয়েছে তখনই উনার অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে ছিল। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যাযাকরণীয় তা করেছেন। এরই মধ্যে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। এই ঘটনা গুলোকে কেন্দ্র করে মৃতের দুই ছেলে সাগর দেবনাথ এবং মানিক দেবনাথ কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধর করেছে বলে অভিযোগ। এমনকি চিকিৎসকের মোবাইল ভেঙে ফেলা, বিপি মেশিন ভাংচুরের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। চিকিৎসককে বাঁচাতে এসে দুজন সিকিউরিটি গার্ড আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এমওআইসি ডক্টর একে নওয়াতিয়া। এই বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
What's Your Reaction?






