ত্রিপুরার বাঁশ গ্রাম বেস্ট ভিলেজ ট্যুরিজম এওয়ার্ডে ভূষিত
বাঁশ গ্রামের এই এওয়ার্ড গর্বিত করল রাজ্যের পর্যটনকে
দ্যা ফ্যাক্ট অফ ত্রিপুরা:-পার্বত্য রাজ্য ত্রিপুরায় গড়ে ওঠা বাঁশ ভিত্তিক পর্যটনকেন্দ্র বাঁশ গ্রাম বেস্ট ভিলেজ ট্যুরিজম এওয়ার্ড ২০২৩ এর শিরোপা হাসিল করেছে। কাতলামারায় বাঁশ ভিত্তিক এই পর্যটন কেন্দ্র গোটা দেশের সামনে গর্বিত করেছে ত্রিপুরার পর্যটনকে।দিল্লিতে উদ্যোক্তাদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্মানানক তুলে দেওয়া হয় বুধবার। এই সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
১ নং সিমনা বিধানসভার কাতলামায় বাঁশ ভিত্তিক পর্যটন কেন্দ্র বাঁশ গ্রামের পথ চলা শুরু ২০১৭ সালে। শহর আগরতলা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বাঁশ গ্রাম। প্রকৃতিকে কোনভাবেই আঘাত না করে বাঁশ বাগানকে কাজে লাগিয়ে এবং প্রকৃতি নির্ভর একটি পর্যটনকেন্দ্র শুরু হয়ে ছিল। শুরুতে একটি ঘর নিয়ে শুরু করলেও দল বর্তমানে বাঁশ গ্রামে পর্যটকরা থাকার মত বেশ কিছু ঘর নির্মাণ হয়েছে। ভারতবর্ষের মধ্যে বাঁশ ভিত্তিক এই পর্যটন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর মনকি বাত কর্মসূচিতে আলোচিত হয়েছে। রাজ্য, বহির রাজ্যের সিমানা পেরিয়ে বিদেশি পর্যটকেরাও বাঁশ গ্রামকে বেশ পছন্দের তালিকায় রেখেছেন। যেভাবে প্রকৃতি নির্ভর এই পর্যটন কেন্দ্র মানুষের পছন্দের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি কর্তৃপক্ষকে। কাঠিয়া বাবা চেরিটেবল সোসাইটি পরিচালিত বাঁশগ্রাম সম্পূর্ণভাবে ইকো ফ্রেন্ডলি। ডাস্টবিন থেকে শুরু করে, ডাইনিং টেবিল, হাঁটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে বাঁশ দিয়ে। বুধবার দিল্লিতে বেস্ট ভিলেজ ট্যুরিজম ২০২৩ প্রথম পুরস্কার গ্রহণের জন্য বাঁশগ্রামকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই মোতাবেক রাজ্য পর্যটন দপ্তরের জয়েন্ট ডাইরেক্টর জয়ন্ত দেববর্মা এবং কাঠিয়া বাবা চেরিটেবল সোসাইটির সম্পাদক মান্না রায় দিল্লিতে যান। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের ৭৭৪ জন আবেদনকারীকে পেছনে ফেলে এই অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করে বাঁশ গ্রাম কর্তৃপক্ষ। যার মধ্য দিয়ে পর্যটন মানচিত্রে ত্রিপুরা একটি বিশেষ স্থান দখল করতে সক্ষম হয়েছে। বাঁশ গ্রামের এই সাফল্য আগামী দিনে রাজ্যের পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এক দারুন অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বলে ধারণা করছেন রাজ্যের মানুষ।
What's Your Reaction?