ডুম্বুর জলাশয়ে ৩ মৎস্যজীবীর মৃত্যু, নিখোঁজ ১
ডুম্বুর জলাশয়ে মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা জনিত বিষয় এখনো সুনিশ্চিত নয়
দ্যা ফ্যাক্ট:-রাজ্যে সেই অর্থে বড় কোন জলাশয়ে বাণিজ্যিকভাবে মাছের চাষ না হলেও ডুম্বুর একটি অন্যতম মাছ চাষের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। এখানেই একসাথে ৩ জন মৎস্যজীবীর মৃত্যু প্রশ্ন ছুড়ে দিল মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তায় কোন ধরনের ব্যবস্থা রয়েছেকি এই ডুম্বুর জলাশয়? খবর লেখা পর্যন্ত আরো একজন মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার রাতে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় শুরু হয় গোটা রাজ্যজুড়ে। ওই সময় ডুম্বুর জলাশয়ের সদাই নন্দপাড়ায় মাছ ধরছিলেন স্থানীয় চার মৎস্যজীবী। জানা গেছে এই দিন রাত আনুমানিক ৯ টা নাগাদ ব্যাপক ঘূর্ণিঝড় আসে। এই ঘূর্ণিঝড় থেকে বাঁচার জন্য মৎস্যজীবীরা জলাশয়ের উপর ভাসমান ফিস কালচার বক্স ঘরে আশ্রয় নেয়। কিন্তু বাতাসের প্রচণ্ড গতিবেগের কারণে এই ঘরটি জলের মধ্যে উল্টে যায়। এই ঘরের নিচে পড়েযায় চার মৎস্যজীবী। রাতে স্থানীয়রা উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিপর্যয় মোকাবেলা কারি দল,টিএসআর সহজ স্থানীয় জনতা। এর মধ্যে মোট তিনজনের মৃত দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে রবিবার। নিহতারা হলেন জ্যোতিষ মল্লিক, প্রদীপ দাস এবং হরি দাস। এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রশ্ন উঠছে গোটা ডুম্বুর জলাশয় জুড়ে মৎস্যজীবীরা যেভাবে দিনরাত মাছ শিকার করেন এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশে তাদের সচেতন করার জন্য কোন ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে কি? আরো প্রশ্ন এই ধরনের দুর্ঘটনা সংঘটিত হলে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করার জন্য কোন ধরনের পরিকাঠামো রয়েছে কিনা? তবে যতদূর জানা গেছে মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তার জন্য এই ধরনের পরিকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি।তবে এই ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা থেকে মৎস্যজীবীদের বাঁচাতে নিরাপত্তা জনিত বিষয়গুলো সরকারের অতিসত্বর সুনিশ্চিত করা উচিত।
What's Your Reaction?