বামুটিয়াতে BJP-র বর্ষিয়ান এবং অভিমানী নেতাদের সাথে সাক্ষাত করলেন রাজ্য সভাপতি
বামুটিয়ার পুর খাওয়া বর্ষিয়ান নেতাদের সাথে মিলিত হয়ে এলাকার ছবি শুধরাতে চাইছেন রাজীব
দ্যা ফ্যাক্ট অফ ত্রিপুরা:-বামুটিয়া বিধানসভার শাসক দলের অভিমানী এবং গোষ্ঠী বাজি নেতাদের কারণে নাজেহাল। এই একটি মাত্র কারণে বিধানসভা নির্বাচনে দল নিজেদের হাতে থাকা আসন বামেদের হাতে দিতে বাধ্য হয়েছিল। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিধানসভা নির্বাচনের প্রভাব যাতে না পড়ে তাই আগে ভাগেই বামুটিয়ার বর্ষীয়ান ও অভিমানী নেতাদের বাড়িতে গেলেন দলের রাজ্য সভাপতি। যদিও দলীয় কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবেই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করেছেন রাজীব।
বামুটিয়া বিধানসভা এলাকাতে বিধানসভা নির্বাচনের পূর্ব থেকেই দলীয় নেতাদের মধ্যে মান অভিমান, গোষ্ঠী কোন্দল এবং নিজের আধিপত্য স্থাপনের লড়াইকে কেন্দ্র করে দল এই আসন হাতছাড়া করেছে। রাজ্য নেতৃত্বের কাছে নির্বাচনের পূর্বেই এই সমস্ত খবর থাকলেও তা সমাধানে তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যার ফলস্বরূপ নিজেদের হাতে থাকা বামোটিয়া আসন সিপিআই(এম) ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু আগামী লোকসভার নির্বাচনের আগে এই ধরনের সমস্যাগুলোকে মিটিয়ে দলকে চাঙ্গা করতে চাইছে রাজীব। বৃহস্পতিবার বামুটিয়া বিধানসভা এলাকাতে প্রায় ৩০ বছর যাবত বিজেপি দলের সাথে যুক্ত থাকা হেমঙ্গল দাসের বাড়িতে গেলেন রাজিব ভট্টাচার্য। যখন এই বিধানসভা এলাকাতে বিজেপি নাম উচ্চারণ করার মত কোন লোক ছিল না তখন কালীর বাজারে দলীয় পতাকা তুলে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতেন হেমঙ্গল দাস এবং উনার সতীর্থরা। হেমঙ্গল দাস জানান শ্যামহড়ি শর্মার হাত ধরে তিনি বিজেপি দলে যুক্ত হয়েছিলেন। এদিন উনার সাথে দীর্ঘ সময় কথা বলার পাশাপাশি শারীরিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নিলেন রাজ্য সভাপতি। এছাড়াও রাজনৈতিক এবং স্থানীয় ইস্যুতে মতবিনিময় করেন তারা। অন্যদিকে এই এলাকার ওপর বর্ষিয়ান নেতা ভজন দাস, শেখর ভট্টাচার্য, নিখিল সরকার, অরুন নমঃ এবং শেখর আচার্য দের সাথেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন রাজীব ভট্টাচার্য। এদিন রাজ্য সভাপতি পাশাপাশি বামুটিয়ার মন্ডল সভাপতি বিজু পাল, মামুটিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন শিলা দাস সেন এবং অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন সৌজন্য সাক্ষাৎ কর্মসূচিতে।
What's Your Reaction?