জারবেরা চাষের জমি পরিদর্শন করলেন কৃষিমন্ত্রী, বেকারদের উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান মন্ত্রীর
দ্যা ফ্যাক্ট:-সরকারের সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে জারবেরা ফুলের বাগিচা। বাবুটিয়া এবং মোহনপুর কৃষি মহকুমা এলাকায় গ্রীন হাউজের ভেতর বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হওয়া জারবেরা চাষ পরিদর্শনের পাশাপাশি চাষীদের সাথেও কথা বললেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
পূর্বে বহিঃরাজ্য থেকে জাবেরা ফুল রাজ্যে আমদানি করতে হতো। বর্তমানে বামুটিয়া কৃষি মহকুমা এলাকাতে সম্প্রতি সরকারি সহযোগিতায় জারবেরা ফুলের চাষ শুরু হয়েছে। বুধবার অনঙ্গনগর এলাকায় আশীষ বৈশ্য, পশ্চিম বামুটিয়া এলাকায় লক্ষণ দেব, পূর্ব বামুটিয়া এলাকায় নিখিলেশ দত্ত এবং মোহনপুর কৃষি মহকুমা এলাকার অন্তর্গত ফটিক ছড়ায় সঞ্জীব দেবনাথের জারবেরা ও দক্ষিণ তারানগর এলাকার সুভাষ বিশ্বাসের গ্লেডুলাস ফুলের চাষ ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। সরকারি সহযোগিতায় গড়ে ওঠা এই ফুলের চাষের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই রোজগার শুরু হয়েছে ফুল চাষীদের। বামুটিয়ার লক্ষণ দেব ইতিমধ্যেই ১৭ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছেন। অন্যদিকে ফটিক ছড়ার সঞ্জীব দেবনাথ এই পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার টাকার বেশি ফুল বিক্রি করেছেন।এদিন নতুনভাবে গড়ে ওঠা এই ফুলের চাষ পরিদর্শন করে মন্ত্রী বলেন এই জারবেরা ফুলের চাষ করার ক্ষেত্রে গ্রীন হাউজ নির্মাণ, সেচের ব্যবস্থা, চারা প্রদান এবং রুপন থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই করা হয়েছে সরকারি উদ্যোগে। যার মধ্য দিয়ে এলাকার মানুষ স্বাবলম্বীর পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি আরো বলেন যদি কেউ চায় রোজগার করবে তাহলে সরকার তার পাশে এসে দাঁড়াবে। মানুষ চাইলেই সরকারের সহযোগিতা নিয়ে সরোজগারি হওয়া যায় তা এই জারবেরা চাষিরা দেখিয়ে দিলেন বলে অভিমত ব্যক্ত করলেন মন্ত্রী রত লাল নাথ।এই দিন পরিদর্শন কালে মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন উদ্যান দপ্তরের অধিকর্তা ফনি ভোষন জমাতিয়া,গোপাল মল্ল, বামুটিয়ার এগ্রি সুপারিন্টেড রাজু রবি দাস, মোহনপুরের এগ্রি সুপারিনটেন রবি দাস সহ অন্যান্যরা।
What's Your Reaction?