পেডি ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহারে ১৫০০ টাকায় ১ কানি জমিতে ধানের চারা রোপণ, কৃষি কলেজে সচেতনতামূলক নমুনা প্রদর্শন
মেশিনের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন, কমবে চাষির খরচ
দ্যা ফ্যাক্ট ব্যুরো:-রাজ্যের ধান চাসীদের শ্রমিক খরচ কমিয়ে আনতে মেশিনের মাধ্যমে ধান রোপনের প্রক্রিয়া প্রদর্শনের উদ্যোগ নিল কৃষি কলেজ। সোমবার কৃষি কলেজে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম সময়েহ কম খরচে এবং কম শ্রমিকের মাধ্যমে কিভাবে ধান রোপন করা যায় তার প্রদর্শন করা হয়। যার মধ্য দিয়ে কৃষকদের সচেতন করা যাবে বলে আশা ব্যক্ত করলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
রাজ্যের ধান চাষীদের মুখে খরচের সাথে সাজুজ্য রেখে রোজগার নেহাত কম হবার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই সমস্যা একেবারে অযৌক্তিক নয়। ধানের চারা রোপনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শ্রমিক এবং শ্রমিকের মজুরীকে ঘিরে নাজেহাল ধানচাশীরা। পরবর্তী সময়ে ধান জমির পরিচর্যা, ধান কেটে ঘরে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত চাষীদের মোটা অংক পকেট থেকে খোয়াতে হয়। এই সমস্যা থেকে চাষীদের বের করে আনতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করতে উদ্যোগ নিল এগ্রিকালচার কলেজ।
এইদিন কলেজের নিজস্ব ধান জমিতে পেডি ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার করে প্রায় ৪০ মিনিট সময়ের মধ্যে এক কানি জমিতে ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ তপন কুমার মাইতি বলেন বাগমা এলাকার একটি এফপিও নিজেরা ধানের চারা দেওয়ার পাশাপাশি এক কানি জমিতে ধানের চারা রোপণ রুপন সমেত মাত্র ১৫০০ টাকা নিচ্ছেন। যদি এই পরিষেবা সমস্ত কৃষকদের কাছে পৌঁছানো যায় তাহলে ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে চাষীদের খরচ অনেকটাই কমিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি আরো বলেন রাজ্যের কৃষকরা এই মেশিন একা কিনতে না পারলেও এফ পিউ, ফার্মাস ক্লাব এবং বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে নিতে পারেন। ধানের চারা রোপন এবং ধান কাটা ও প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে রাজ্যের চাষিরা যদি মেশিনের ব্যবহার সঠিকভাবে নিতে পারেন তাহলে রাজ্যে ধান চাষের ক্ষেত্রে এক ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে বলে আশা ব্যক্ত করলেন কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ তপন কুমার মাইতি।
What's Your Reaction?