সরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন নিয়ে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী
সরকারি স্কুলের চাইতে বেসরকারি স্কুল গুলো অনেক এগিয়ে। আক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর।
দ্যা ফ্যাক্ট : রাজ্যে প্রাইভেট টিউশন ক্যান্সারের রূপ নিয়েছে। বিদ্যালয়গুলোতে এত আয়োজন তারপরও কেন প্রাইভেট টিউশন? শনিবার কুমারী টিলায় এসসিইআরটির একাডেমিক বিল্ডিং এবং টিচার্স হোস্টেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা।
রাজ্যে প্রাইভেট টিউশন একটি বিশাল বিদ্যা ব্যবসার বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। যতদিন বেকার যুবক-যুবতীরা এই পেশাতে যুক্ত ছিল ততদিন পর্যন্ত সেই অর্থে অভিযোগও ছিল না। কিন্তু যখন থেকে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা এই অবৈধ পেশার সাথে নিজেদের যুক্ত করেছেন তখন থেকেই শুরু হয়েছে বিপত্তি। শিক্ষা দপ্তর নিয়ম করে দিয়েছে কোন সরকারি শিক্ষক শিক্ষিকা প্রাইভেট টিউশন করতে পারবে না। কিন্তু এরপরেও অনেকেই সরকারে এই নির্দেশিকাকে তোয়াক্কা না করে জাকিয়ে বিদ্যা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আক্ষেপ করেন সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে পরি কাঠামোগত, শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ এত ব্যবস্থা থাকার পরেও বেসরকারি স্কুলগুলোতে ফলাফল ভালো হচ্ছে। ছেলেমেয়েদের ঝোঁকে বেসরকারি স্কুলের দিকে। আবার সরকারি স্কুলের যে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রাইভেট টিউশন করছেন তাদের বাড়িতে আবার লম্বা লাইন। এই ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে আক্ষেপ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান করেন যারা বাড়িতে প্রাইভেট টিউশন করছেন তারাই যেন স্কুল শেষে স্কুলের ভেতর প্রাইভেট টিউশন শুরু করেন। যাতে করে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের দৌড় ঝাপের বালাই কমে যাবে। পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলোতে যেভাবে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করানো হচ্ছে এবং বিভিন্ন দিক দিয়ে তাদেরকে গড়ে তোলা হচ্ছে তার চাইতে সরকারি বিদ্যালয়গুলো অনেকটাই পিছিয়ে বলে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতেই শিক্ষা দপ্তর রেখেছেন। কিন্তু বিদ্যালয় স্তরে লেখাপড়াকে কেন্দ্র করে সন্তুষ্ট নন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য সরকারের কোন ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছুই বললেন না মুখ্যমন্ত্রী।
What's Your Reaction?