মথাতে প্রদ্যুৎই শেষ কথা,লোকসভা নির্বাচনে আনারস সিম্বল ছাড়া লড়তে পারে প্রার্থী: প্রদ্যুৎ
আগামী লোকসভার নির্বাচনে অন্য দলের প্রতিক চিহ্নে লড়াই করতে পারে মাথার প্রার্থী
দ্যা ফ্যাক্ট:-আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিপ্রা মথার সিম্বল নিয়ে নির্বাচনের লড়বেনা তিপ্রা মথার প্রার্থী। তবে প্রার্থী কে হবে তা ঠিক করবে একমাত্র দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যুৎ বিক্রম মানিক্য দেববর্মা। সামাজিক মাধ্যমে এই স্পষ্টিকরণ দিলেন প্রদ্যুৎ। পাশাপাশি দলের মধ্যে উনার চাইতে আর কোন বড় লিডার নেই বলেও পরিস্কার জানিয়ে দিলেন প্রদ্যুৎ।
তিপ্রা মথা দলেও গণতন্ত্রের কোন ছিটে ফোঁটাও নেই। কারণ দলের মধ্যে সর্বোচ্চ লিডার হিসেবে প্রদ্যুৎ বিক্রম মানিক্য দেববর্মা নিজেকে দাবি করলেন। ভারতবর্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক স্বার্থে দলে গঠনতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি করে থাকে। দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল গণতন্ত্রকে প্রাধান্য দিয়ে দলের সংবিধান বা নীতির নির্দেশিকা তৈরি করে থাকে। কিন্ত রাজ্যের উপজাতি ভিত্তিক রাজনৈতিক দল তিপ্রা মথা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর গ্রেটার তিপ্রা ল্যান্ড ইস্যুতে মাঠে নেমে এডিসি দখল করেছে। সময়ের সাথে সাথে দাবির পরিবর্তন হয়েছে। এখন আর সেই অর্থে গ্রেটারটি তিপ্রা ল্যান্ডের দাবি করেনা তিপ্রা মথা। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকার এবং মথা নেত্রীত্বের মধ্যে বিভিন্ন দাবি-দাওয়াকে নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এরপর দুই বিধায়ক যুক্ত হলেন কেবিনেটে। এই অবস্থাতে সাধারণ মানুষের চরম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে প্রদ্যুৎ বিক্রম মানিক্য দেববর্মা ও তার দলকে।
এই বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে এসে স্পষ্টিকরণ দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হয়েছেন প্রদ্যুৎ। তিনি দাবি করেন আগামী লোকসভা নির্বাচনে যে প্রার্থী বাছাই করা হবে তা বাছাই করবেন তিনি নিজে। অন্যদিকে তিনি এটাও স্পষ্ট করেন মাথার প্রার্থী হয়তো আনারস প্রতীক চিহ্নে নির্বাচনের লড়বেনা। ধারণা করা হচ্ছে বিজেপির প্রতীক চিহ্নে নির্বাচনে লড়তে পারে মথার প্রার্থী। তিনি সাফ জানিয়ে দেন দল পরিচালনা করার ক্ষেত্রে উনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। কারণ তিপ্রা মথা দলের মধ্যে উনার চাইতে আর বড় কোন লিডার নেই বলে ঘোষণা দিলেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে, গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোতে রাজনীতি করতে গিয়ে একনায়ক তন্ত্রের যাঁতাকলে পড়ে মথা নেতৃত্বরা পারবেতো রাজনীতি চালিয়ে যেতে?
What's Your Reaction?