জিবিপি হাসপাতালে সফল হলো কিডনি প্রতিস্থাপন
ত্রিপুরার জিবিপি হাসপাতালে প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপন সফল হল। আশার আলো দেখছেন কিডনি রোগীরা।
দ্যা ফ্যাক্ট:- জিবিপি হাসপাতালে প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপন সফল হল সোমবার। কিডনি দাতা এবং গৃহীতা দুজনই সুস্থ রয়েছেন। দীর্ঘদিনের জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মনিপুর এবং ত্রিপুরার চিকিৎসকরা যৌথভাবে এই সফলতা এনে দিয়েছে ত্রিপুরার স্বাস্থ্য পরিষেবার ইতিহাসে। যা রাজ্যের চিকিৎসা জগতে এক মাইলফলক। এদিকে জিবিপি হাসপাতালের এক চিকিৎসক কিডনি প্রতিস্থাপনের সাথে নিজের নাম সামাজিক মাধ্যমে যুক্ত করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিলমোহর দিলনা প্রচারে।
রাজ্যে বড় ধরনের সার্জারি করার ক্ষেত্রে এখনো বহু মানুষ আস্থা রাখতে পারে না রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর। অর্থ বেশি খরচ হলেও বহিঃরাজ্যের ওপর ভরসা রাখতে চান। বিশেষ করে কিডনি প্রতিস্থাপনের মত সার্জারি ত্রিপুরাতে হবে তা হয়তো রবিবার পর্যন্তও কল্পনা করতে পারেনি বহু মানুষ। কিন্তু এই অকল্পনীয় বিষয়টিকে বাস্তব করে দেখালো ত্রিপুরা এবং মনিপুরের সৃজা হাসপাতালের একদল চিকিৎসক। সোমবার জিবিপি হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগে প্রথম সার্জারি হয়। রামনগর রোড নং ৫-র নিবাসী মুন্না সাহা সূত্রধর উনার ছেলে শুভম সূত্রধর (২০) কে কিডনি দান করেছেন। কিডনি প্রতিস্থাপন করার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানানো হয়েছে কিডনি প্রতিস্থাপন সফল হয়েছে। মা এবং ছেলে দুজনই সুস্থ রয়েছেন। রাজ্যের চিকিৎসা জগতের ইতিহাসে এই সাফল্য আশার আলো দেখিয়েছে রাজ্যের কয়েক হাজার কিডনি রোগে দেয়। সম্পূর্ণ সরকারি খরচে এই কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। সম্প্রতি মনিপুরের সৃজা হাসপাতালের সাথে রাজ্যের এজিএমসি এবং জিবিপি হাসপাতালে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তি মোতাবেক জিবিপি হাসপাতালে নেফ্রোলজি বিভাগ সূচনা করা এবং কিডনি প্রতিস্থাপনে সরাসরি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সৃজা হাসপাতাল। যার ফলস্বরূপ এই সফল সার্জারী সম্ভব হয়েছে জিডিপি হাসপাতালে।
অন্যদিকে এই হাসপাতালের এক চিকিৎসক সামাজিক মাধ্যমে এই সার্জারির সাথে উনার নাম যুক্ত করে প্রচার করলেও এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে চিকিৎসকদের তালিকায় উনার নাম ছিল না আধিকারিকদের মুখে। স্বাভাবিকভাবেই ডঃ চৌধুরীর নিজের প্রচারে জল ঢেলে দিল জিবিপি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
What's Your Reaction?