গাঁজা বাগান ধ্বংসে অনিহা,পুলিশের সামনে 'মোড়ল' গাঁজা চাষীরা

পুলিশের মহান নির্দেশকের মুখে চুনকালি মাখতে মোহনপুর পুলিশ মহকুমার গাঁজা চাষ যথেষ্ট

Dec 8, 2023 - 03:15
 0  47
গাঁজা বাগান ধ্বংসে অনিহা,পুলিশের সামনে 'মোড়ল' গাঁজা চাষীরা
পুলিশের আদর অভ্যর্থনায় পরিণত বয়সে পদার্পণ করল মোহনপুরের বিস্তীর্ণ গাঁজা ক্ষেত।ছবি-দ্যা ফ্যাক্ট

দ্যা ফ্যাক্ট:-গোটা ত্রিপুরা রাজ্যে যে পরিমাণ গাজার চাষ হচ্ছে তার প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ গাজা চাষ শুধুমাত্র মোহনপুর পুলিশ মহকুমাতে হচ্ছে। এই ব্যাপক পরিমাণ গাঁজা চাষ রীতিমতো রাজ্য সরকার পুলিশের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। প্রশ্ন উঠছে গোটা সিস্টেমকে মেনেজ না করে এই ব্যাপক পরিমাণ অবৈধক গাঁজা চাষ কি করে সম্ভব? দাবি উঠেছে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার সেই শ্লোগান আখেরে বাস্তবে পরিণত করুক সরকার।

               বিশেষ করে সিধাই থানা এলাকাতে রাজকীয়ভাবে হচ্ছে এই গাঁজা চাষ হচ্ছে। একসময় জনজাতি অংশের মানুষ এই গাঁজা চাষের সাথে জড়িত থাকলেও, বর্তমানে বাঙ্গালি অংশের মানুষও এই গাঁজা চাষের সাথে যুক্ত হয়েছে। রহস্যজনকভাবে গাঁজা বাগান গুলো ধ্বংস করার ক্ষেত্রে পুলিশের দারুন অনীহা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আকস্মিক কিছু স্থানে গাঁজা বাগানে ধ্বংস করার উদ্যোগ নিচ্ছে এসডিপিও বিজয় সেন। কিন্তু উনার এই উদ্যোগ একেবারেই সামান্য। যে পরিমাণ গাঁজা বাগান শুধুমাত্র সিধাই থানা এলাকার জুড়ে রয়েছে তা ধ্বংস করার কাজ একনাগাড়ে করলে পুলিশকে অন্তত আগামী ৩০ শুধু গাঁজা বাগান ধ্বংস করতে হবে। এই বিশাল অংশের গাঁজা বাগান থেকে উৎপাদিত গাঁজা বহিঃর রাজ্যে পাচারের সময় আসাম এবং অন্যান্য রাজ্যে গিয়ে ধরা পরছে। বদনাম হচ্ছে ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরা। একইভাবে বাংলাদেশে পাচারের সময় বাংলাদেশের নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে আটক হচ্ছে গাঁজা। এই ক্ষেত্রেও ত্রিপুরা এবং ভারতের বদনাম হচ্ছে। এত সবের পরেও রাজ্য সরকার নেশা বিরোধী অভিযানের স্লোগানকে গাঁজা বাগানে ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করতে কি কারণে এত অনীহা তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ। স্থানীয়দের দাবি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা যদি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন তাহলেই মোহনপুর পুলিশ মহকুমা এলাকা থেকে গাঁজা বাগান ধ্বংসের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে পুলিশ।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow