খালি পায়ে রাখি বন্ধন, সংস্কারের পরিচয় দিল কাঠিয়া বাবা মিশন স্কুল
সংস্কার তৈরি করতে পারে আদর্শ মানুষ
দ্যা ফ্যাক্ট ব্যুরো:-শিশুদের প্রথম সংস্কার শুরু হয় নিজ ঘর থেকে। জীবনের বৃহৎ জগতে প্রবেশ করতে বিদ্যালয় থেকে সংস্কারের পাঠ যদি শিক্ষার্থীদের দেওয়া যায় সে ক্ষেত্রে একজন আদর্শ নাগরিক তৈরি হওয়া কোন কঠিন বিষয় নয়। কাঠিয়া বাবা মিশন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংস্কারের এই লক্ষণগুলো দারুণভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে রাখি বন্ধন উৎসবে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের রাখি পোরানোর সময় পায়ের জুতো খুলে শ্রদ্ধাশীল মনে নতোমস্তকে রাখি পরিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। যা একেবারেই বিরল ছবি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কের নিবিড়তা আনতে রাখিবন্ধন উৎসবের সূচনা করেছিলেন। সময়ের সাথে সাথে এই রাখি বন্ধন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাভাবনার গন্ডি পেরিয়ে আধুনিকতা মোড়কে অনেকটাই সংস্কার হীন আজ। এই রাখি বন্ধন টাকে ভারতীয় ঐতিহ্যের সাথে খাপ খাইয়ে পালন করার সংস্কার পেয়েছে সিমনা বিধানসভার কাতলামারা স্থিত কাঠিয়া বাবা মিশন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবছরের মতো এই বছরও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের রাখি পরিয়ে রাখিবন্ধন উৎসব পালন করল কাঠিয়া বাবা মিশন স্কুল। রাখি পরানোর সময় ছাত্রীরা পায়ের জুতো খুলে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে রাখি পরাতে দেখা গেল। রাখি বন্ধন উৎসবে এই ধরনের সংস্কার নেহাতি কম নজরে আসে। যেখানে রাখি বন্ধন উৎসব কিছু সংখ্যক মানুষের কাছে উপহার দেওয়া-নেওয়ার একটি সস্তা মাধ্যম হয়ে উঠেছে, সে জায়গায় দাঁড়িয়ে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীরা জুতো খুলে খালি পায়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের হাতে রাখি পরিয়ে দেওয়ার দৃশ্য ইঙ্গিত করছে ভারতবর্ষের সংস্কৃতি আজও হারিয়ে যায়নি। পরিবার, সমাজ, রাজ্য এবং রাষ্ট্রের জন্য সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সংস্কারের মধ্য দিয়েই প্রতিটি মানুষের ভিত তৈরি হয়। প্রতিটি মানুষ সংস্কার ছাড়া দিশাহীনের সমান। ফলে কাঠিয়া বাবা মিশন স্কুলের ছাত্রীরা রাখিবন্ধন উৎসবে এই সংস্কার বজায় রেখে সংস্কার হিনদের কাছে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।
What's Your Reaction?