কৃষি কলেজে ২ দিন ব্যাপী জাতীয় কনফারেন্সের সূচনা করলেন রাজ্যপাল
ত্রিপুরা কৃষি কলেজে জাতীয় কনফারেন্সকে কেন্দ্র করে রাজ্য এবং বহিঃরাজ্যের কৃষি বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞরা ভাগ নেবেন আলোচনায়।
দ্যা ফ্যাক্ট :- কৃষি কলেজে দুদিনব্যাপী ন্যাশনাল কনফারেন্সের সূচনা হলো বৃহস্পতিবার। আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লু। আইপিএস নর্থ-ইস্টার্ন জোনাল মিট এবং এই ন্যাশনাল কনফারেন্সকে কেন্দ্র করে রাজ্য এবং বহিঃরাজ্যের কৃষি বিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞানীরা হাজির হয়েছেন ত্রিপুরা এগ্রিকালচার কলেজে। ২৬ এবং ২৭ তারিখ কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হবে।
ন্যাশনাল কনফারেন্সকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কৃষি বিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞানীরা উপস্থিত হয়েছিলেন। আগামী ২৭ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই কনফারেন্স। মিনিস্ট্রি অফ ডেভেলপমেন্ট অফ নর্থ ইস্টার্ন রিজন, নেরামেক এবং নাবার্ড ত্রিপুরা রিজনের সহযোগিতায় এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই দিন বিভিন্ন কৃষি কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী বিশেষজ্ঞদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লু স্মারক এবং সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন। এ দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমস্ত অতিথি এবং বিশেষজ্ঞদের স্বাগত জানিয়েছেন কলেজের প্রিন্সিপাল দেবাশীষ সেন। উদ্বোধনী মঞ্চে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর গৌতম সাহা আহ্বান করেন, একদিকে রিসার্চ চলবে এবং অন্যদিকে কৃষকরা তাদের জমিতে কাজ করবে সেই দিন শেষ। এখন রিসার্চের সাফল্যের ভিত্তিতে কৃষকদের সাথে সরাসরি কাজ করতে হবে। তিনি কৃষি কলেজের শিক্ষার্থী এবং অন্যান্যদের পরামর্শ দিয়েছেন কৃষকদের মাঠে গিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে অবগত করার জন্য।
এ দিন ত্রিপুরা রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লু ফসলে কীটনাশক প্রয়োগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রথমে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণের জন্য ফসলে কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে, কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেই ফসলের সাথে কীটনাশক মানবদেহে প্রবেশ করছে। এই বিষয়ে সচেতনতা এবং নিয়ন্ত্রণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি। পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেছেন তিনি। ভারতবর্ষের পাশাপাশি ত্রিপুরাতে প্রযুক্তির প্রয়োগের উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। কৃষকরা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে তাদের সমস্যাগুলো বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠাবেন এবং বিশেষজ্ঞরা সেই বিষয়ে সমাধান দেবেন। এই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল।
এ দিন রাজ্যপালকে মঞ্চে রেখে আইপিএস-এর সেক্রেটারি ডঃ কাজল কুমার বিশ্বাস মঞ্চে ঘোষকের মাইক্রোফোন নিয়ে সংবর্ধনা প্রাপকদের নাম নিজে ঘোষণা করার পাশাপাশি প্রতিবার সংবর্ধনা প্রাপকদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন। আবার নাম ঘোষণা করেছেন, যার ফলে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়েছে। একজন রাজ্যপালকে মঞ্চে রেখে কোনও আধিকারিকের এই ধরনের আচরণ অত্যন্ত দৃষ্টিকটু বলে মনে করেছেন দর্শক মন্ডলী।
তবে, কৃষি কলেজে এই ধরনের আয়োজনে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে রাজ্যের কৃষি জগতে দারুণ উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে, তা স্পষ্ট।
What's Your Reaction?