উত্তর বামুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রেগার কাজের নিয়মে দফারফা
বামুটিয়া ব্লকের বেশিরভাগ পঞ্চায়েতে রেগার কাজ নিয়ে ছেলে খেলার অভিযোগ
দ্যা ফ্যাক্ট অফ ত্রিপুরা:- এম জি এন রেগার কাজকে ঘিরে উঠলো অনিয়মের অভিযোগ।বামুটিয়া ব্লকের উত্তর বামুটিয়া পঞ্চায়েতের ৬ নং ওয়ার্ডে বরজুস গ্রামে বহু শ্রম িক কাজ না করে বাড়িতে বসে মজুরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্মরত শ্রমিকদের তরফে। অথচ এই বিষয়ে নজর দেওয়ার মতো দেখা মিলছে না কারুর।
গোটা ভারতবর্ষে রেগার কাজ একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতির মধ্যে থেকে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু বামুটিয়া ব্লক এলাকার বিভিন্ন পঞ্চায়েতে দেখা যাচ্ছে বেতিক্রম ছবি। অনেকটা নিজেদের মতো করে আইন তৈরি করে কাজ চলছে এমজিএন রেগা প্রকল্পের কোন কাজের ক্ষেত্রেই সরকারের নির্দেশিকা মোতাবেক যত সময় কাজ করার কথা তা মানা হচ্ছে না। কোথাও দু ঘন্টা। আবার কোথাও এক ঘন্টা কাজ করে বাড়িতে গিয়ে দুধে ভাতে থাকছে তথাকথিত সুবিধাভোগী রেগা শ্রমিকরা। অন্যদিকে সরকারি পয়সা গুনে নিচ্ছে পাইটু পাই। কিন্তু জিআরএস, পঞ্চায়েত সচিব থেকে শুরু করে ব্লকের আধিকারিকরা এই অনিয়ম দেখেও না দেখার ভান করে আসছে। শুক্রবার উত্তর বামুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নং ওয়ার্ডের বরজুস গ্রামে রেগার কাজকে কেন্দ্র করে উঠে এলো আরো চরম অনিয়মের অভিযোগ। শ্রমিকরা অভিযোগ করেন এই গ্রামের বেশিরভাগ শ্রমিকের বাড়ি থেকে একাধিক শ্রমিকদের রেগার কাজ দেওয়া হয়েছে। যাদের বাড়ি থেকে একজনকে কাজ দেওয়া হয়েছে উনারা একজন করেই কাজ করছেন। আবার যে জব কার্ডের মাধ্যমে একাধিক জনকে এক পরিবার থেকে কাজ দেওয়া হয়েছে তারাও একজনে কাজ করছেন। ফলে পরিবারের একজন কাজ করে একাধিক জন মজুরি গুনছেন। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুক্রবার কাজ চলাকালীন সময়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রেগা শ্রমিকেরা। শ্রমিকদের আরো অভিযোগ রেগার কাজ চলাকালীন সময়ে সরকারি আধিকারিকদের ছাড়াও এলাকার বেশ কিছু মাতব্বরকে নিয়োগ করা হয় কাজ পরিদর্শন করার জন্য। সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে ওই মাতব্বরেরা ঘরে বসেই রেগার হাজিরা গুনছেন। যার ফলে কাজ করে পয়সা নিতে আসা শ্রমিকদের এই সুবিধাভোগী মাতব্বরদের ভাগের কাজটুকু করতে হচ্ছে। দাবি উঠেছে এই সুবিধাভোগী মাতব্বর এদের বিরুদ্ধে এবং অবৈধভাবে হাজিরা হাসিল কারি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক বামুটিয়া ব্লক কর্তৃপক্ষ।
What's Your Reaction?