হেজামারা ব্লক এলাকায় সুবিধাভোগী ও আধিকারিকদের সাথে মতবিনিময় করেন রাজ্যপাল
সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শানখোলা এলাকায় সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে সরোজমিনে খোঁজ নিলেন রাজ্যপাল
দ্যা ফ্যাক্ট:- ত্রিপুরা,টিআর ০১ জে ০৯৪৩ এই নম্বর যুক্ত গাড়িতে চড়ে রাজ্যপাল শুকর পালক থেকে শুরু করে, গর্ভবতী মহিলার খবর নিতে এই প্রত্যন্ত গ্রামে আসবেন হয়তো ভাবেননি কেউ। কিন্তু হেজামারা ব্লকের অন্তর্গত সানখোলা এলাকায় গিয়ে একে একে সমস্ত বিষয়ে খোঁজ নিলেন রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি নাল্লু।
পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার হেজামারা আরডি ব্লক একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হিসেবে পরিচিত। এই প্রথম তো এলাকাতে মানুষগুলো কেমন আছেন তা ষড়যমিনী খবর নিলেন রাজ্যপাল। শানখোলা এডিসি ভিলেজ কমিটি এলাকার মানুষ কি ধরনের সরকারের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন এবং উন্নয়নমূলক কাজ কিভাবে হচ্ছে সেগুলো সম্পর্কে সাধারণ মানুষ থেকে আধিকারিক সবার সাথে কথা বলেছেন রাজ্যপাল। এদিন একে একে সমস্ত দপ্তরের আধিকারিকদের কাছ থেকে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ সম্পর্কে অবগত হয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র আধিকারিকদের কথায় সন্তুষ্ট না থেকে সুবিধাভোগীদের সাথেও সরাসরি কথা বলেছেন তিনি। স্থানীয়দের কাছ থেকে রাজ্যপাল জানতে পারেন আখালিয়া ছড়া হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রীরা এখনো বাইসাইকেল পারেনি। অথচ নবম শ্রেণীতে ওঠার পর তাঁদের বাইসাইকেল দেওয়ার কথা ছিল। রাজ্যপাল নির্দেশ দেন এই সমস্যা অতিসত্বর সমাধান করার জন্য। সেই মোতাবেক পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ঘোষণা করেন আগামী সাত দিনের মধ্যে সমস্ত ছাত্রীদের বাইসাইকেল প্রদান করা হবে। এইদিন রাজ্যপাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন এই এলাকার উন্নয়ন এবং অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্যই এই সফর কর্মসূচি ছিল। তবে যে সমস্যাগুলো উঠে এসেছে সেগুলো কতটা সমাধান হয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য আবার একমাস পর তিনি এই এলাকায় আসবেন বলে জানিয়েছেন। এদিন রাজ্যপালের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হেজামারা আরডি ব্লকের বিডিও ওবেড ডারলং, হেজামারা বিএসি চেয়ারম্যান সুনীল দেববর্মা এবং অন্যান্যরা।
What's Your Reaction?