আত্মরক্ষার্থে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পঁচা গলা দেহ উদ্ধার হেলনের, তদন্তে পুলিশ
ধারালো দা নিয়ে প্রতিবেশীর হুমকি সইতে না পেরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ঘরে ফিরলনা হেলন
দ্যা ফ্যাক্ট :-প্রতিবেশীর সাথে জমি সংক্রান্ত বিবাদ। বাহুবলী প্রতিবেশীরা দাহাতে বাড়িতে গিয়ে গোটা পরিবারকে খুন করার হুমকি। ভয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পচা কলা দেহ উদ্ধার হল মহিলার। মিতার নাম হেলন সূত্রধর (৬০)। ঘটনা বাবুটা পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত দেবেন্দ্রনগর চা বাগানে।
বামুটিয়ার কালীবাজার এলাকার নিবাসী হেলন সূত্রধর। প্রায় ১০ দিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান হেলন। এরপর বহু খোঁজা খুঁজি করেও উনার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানান উনার ভাই রবীন্দ্র সূত্রধর। শনিবার এলাকার চা বাগানে উনার পচা গলা দেহ দেখতে পেয়ে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এদিকে মৃতার ভাই রবীন্দ্র সূত্রধর অভিযোগ করেন তাদের প্রতিবেশী অখিল বিশ্বাস এবং অখিলের বাবা রামচরণ বিশ্বাস জমি সংক্রান্ত বিপদকে কেন্দ্র করে হেলন সূত্রধরদের বাড়িতে গিয়ে ধারালো দা নিয়ে আক্রমণ করার চেষ্টা করে। এছাড়াও গোটা পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করলেন রবীন্দ্র সূত্রধর। এই পরিবারের ভাই-বোন কেউ বিয়ে করেননি। পরিবারের প্রত্যেকেই প্রায় বার্ধক্যের কৌটায় পৌঁছে গেছেন। এরমধ্যে বেশিরভাগ সদস্য শারীরিকভাবে অসুস্থ। এই সুযোগে প্রতিবেশীরা তাদের জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় হেলনকে এবং তার গোটা পরিবারকে খুন করার হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ করে রবীন্দ্র। এই ঘটনার পর ভয়ে এবং মানসিকভাবে আঘাতগ্রস্ত হয়ে হেলন বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। এরপর আর বাড়িতে ফিরে আসেননি বলে জানান তিনি। যদিও বাড়ি থেকে বেরিয়ে ডিএম কলোনি এলাকায় মাসির বাড়ি এবং বামুটিয়ার বিধায়ক নয়ন সরকারের বাড়িতে গিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি। তবে এদিন মৃতদেহ দেখে মনে হচ্ছিল তিনি এই স্থানে ঘুমিয়ে ছিলেন। দেহের নিচে চাদর, মাথার নিচে বালিশের বিকল্প পুটলি ছিল। এখন প্রশ্ন এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি পরিকল্পিত খুন। কারণ এই চা বাগানের জঙ্গলের ভেতর ঘুমিয়ে থাকা স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে না। তবে গোটা বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
What's Your Reaction?