মিলেট চাষে রাজ্যের অংশীদারিত্ব বাড়াতে উদ্যোগ নিল নেরাম্যাক এবং কৃষি কলেজ
কৃষি কলেজে মিলেট চাষের উপর প্রশিক্ষণ এবং প্রদর্শনী।
দ্যা ফ্যাক্ট : মিলেট চাষের উপর গুরুত্ব দিয়ে নেরাম্যাক এবং কৃষি কলেজ যৌথভাবে "প্রমোশন অফ মিলেট ইন ইন্ডিয়া" শীর্ষক এক কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়েছে মঙ্গলবার। এইদিন কৃষি কলেজে মিলের চাষের উপর প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজ্য এবং বহিঃ রাজ্যের মিলেট চাষীরা অংশ নিয়েছে।
গোটা বিশ্বে মিলেটের চাহিদা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে স্বাস্থ্যের দিকটি মাথায় রেখে মিলেট খাওয়ার উপর গুরুত্ব দিয়েছে ভারতীয় থেকে শুরু করে বহু রাষ্ট্রের মানুষ। বর্তমানে গোটা ভারতবর্ষে মিলেট চাষের উপর ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার লেম্বুছড়া স্থিত কৃষি কলেজে মিলেট চাষের উপর এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এদিন অরুণাচল প্রদেশ থেকে আগত মিলেট চাষী এবং এন্টারপ্রেনিয়রসরাও উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত চাষীরা এতে অংশ নিয়েছে। এদিন কৃষি কলেজের অধ্যাপক ডক্টর দেবাশীষ সেন বলেন ধান চাষের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিমাণ জলের প্রয়োজন। রাজ্যে বর্তমানে জল সেচের কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সময় থাকতে আমাদের বিকল্প চিন্তা করতে হবে। মিলেট চাষে স্বল্প পরিমাণ জলের প্রয়োজন। তাছাড়া তার ব্যাপক বাজার রয়েছে। ত্রিপুরাতে এর খাদ্যাভাস তৈরি করা প্রয়োজন। তবে কোন চাষী স্বল্প পরিসরে এই চাষ শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে মিলেট উৎপাদনের পর তা প্রক্রিয়াকরণের উপর ও সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন ডঃ দেবাশীষ সেন। অন্যদিকে নাবারটের জিএম অনিল এস কোটমেরি বলেন ত্রিপুরাতে ক্ষুদ্র চাষির সংখ্যা বেশি। চাষিরা স্বল্প পরিসরে একত্রিতভাবে এই মিলেটের চাষের উদ্যোগ নিতে পারেন। যদি তার উৎপাদন বেশি হয় তাহলে বিক্রির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এদিন মিলেট প্রক্রিয়াকরণের উপর এক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি মিলেট কিভাবে খাওয়ার উপযুক্ত করতে হয় তাও হাতে-কলমে দেখানো হয়েছে এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে। ধারণা করা হচ্ছে আগামী দিনে রাজ্যের কৃষকরা এমিলেট চাষের প্রতি আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসবে।
What's Your Reaction?