সিধাইয়ে আটক বাংলাদেশি গরু চোরদের ফেরত দিল BSF, নিরাপত্তা সুনিশ্চিতের দাবী গ্রামবাসীর
সিধাই বিওপি এলাকার অন্তর্গত নন্দলাল দাসপাড়ায় সম্পত্তির দুই বাংলাদেশি গরু চোরকে আটক করে গ্রামবাসী। তাদের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় বিএসএফ। এই বাংলাদেশি চুরেরা পুনরায় ভারতীয়দের ওপর আক্রমণ করার সন্দেহ প্রকাশ করছেন গ্রামবাসী।

দ্যা ফ্যাক্ট :- জীবন ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশী কুখ্যাত গরু চোরদের আটক করলো গ্রামবাসী। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী অভিযুক্তদের পুষ ব্যাক করে বাংলাদেশে। বাংলাদেশেল গণমাধ্যমে প্রচারিত হয় কৃষকদের আটক করে মারধর করা হয়েছে ভারতে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সিধাই বিওপির অন্তর্গত নন্দলাল দাসপাড়ার গ্রামবাসী।
সিধাই থানার অন্তর্গত নন্দলাল দাসপাড়া গ্রামে গত ২০ তারিখ বাংলাদেশ থেকে গরু চুরি করতে এসে স্থানীয়দের হাতে আটক হয় দুই কুখ্যাত গরু চোর। এদের নাম তোফাজ্জল হোসেন ও জামাল মিয়া। এদের বাড়ি মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের তুলশীপুর গ্রামে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল টর্চ লাইট, দা এবং কাঁটাতারের বেড়া কাটার জন্য ব্যবহৃত কাটার। অভিযুক্তদের কাঁটাতার থেকে প্রায় ৩০০ মিটার ভেতরে আটক করেছে গ্রামবাসী। অথচ বাংলাদেশের গণমাধ্যম এই বাংলাদেশি চোরদের নিরহ কৃষক বলে প্রচার করছে। তাঁরা ভুলবশত সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের প্রবেশ করেছে বলে গণমাধ্যমগুলোর দাবি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ভুলবশত সীমান্ত না হয় পার হলো। তারকাটা টপকে ৩০০ মিটার ভেতরে কিভাবে এলো? প্রশ্ন কৃষকদের সাথে টর্চ লাইট, কাটার কেন থাকবে? ফলে বুঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের গণমাধ্যম শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে।
এদিকে নন্দলাল দাস পাড়ার জনগণ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিযোগ করেন সীমান্ত রক্ষী বাহিনী চোরদের নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ফলে গ্রামবাসীরা আতঙ্কে দিন যাপন করছেন। কারণ যে চোরদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তারা অত্যন্ত নিষ্ঠুর। বিগত দিনে বহু মানুষকে এই এলাকায় গুরুতর আহত করেছে এই চোরেরা। বহু গাভী নিয়ে গেছে চুরি করে। স্থানীয়দের প্রশ্ন গ্রামবাসীরা চেষ্টা করে এই চোরদের পাকড়াও করেছে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী তাদের ভারতের সাজার ব্যবস্থা না করে কি কারণে বাংলাদেশের হস্তান্তর করলো? স্থানীয়দের একটাই দাবি সীমান্তরক্ষী বাহিনী হয় বাংলাদেশি চোরদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। অথবা এই গ্রামের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুক।
What's Your Reaction?






