বর্ণ বৈষম্য, শিক্ষিকার অশালীন আচরণ, প্রতিবাদে হরেন্দ্র নগর স্কুলে বিদ্যালয় বিমুখ শিক্ষার্থী, সংগঠিত হয় প্রতিবাদ
শিক্ষার অস্বাভাবিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মাঠে নামল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা
দ্যা ফ্যাক্ট ব্যুরো:-বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে বর্ণবৈষম্য, আপত্তিজনক ভাষায় গালিগালাজ,গালে চড় থাপ্পড় নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় হরেন্দ্রনগর উচ্চ বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। এও আবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ। অবশেষে বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয় শিক্ষার্থী সমেত সমস্ত অভিভাবকেরা।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সবিতা সরকার দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর নিয়মিত ছাত্র সংখ্যা কমছে বলেই অভিযোগ আনলেন অভিভাবকেরা। এই শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের সাথে যে ধরনের দুর্ব্যবহার করছেন তাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার মনোভাব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । এমনকি হরেন্দ্রনগর চা বাগান এলাকার শ্রমিক সন্তানদের গায়ের চামড়া কালো বলে ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ সবিতা সরকার তাদের কালো চামড়া বলে ছেলেমেয়েদের অপমান করছে বলেও অভিযোগ আনলো খোদ শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন কার্যকলাপকে ঘিরে অত্যন্ত অশ্লীল ভাষায় তাদের গালিগালাজ করার অভিযোগও গলা উঁচিয়ে করতে বাধ্য হলো বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অমানবিকভাবে মারধর করা থেকেও তিনি বিরত থাকেন না বলে অভিযোগ। শুক্রবার রিয়া ঝা নামে এক ছাত্রীকে শিক্ষিকা সবিতা সরকার অতিরিক্ত মানসিক নির্যাতন করার কারণে একসময় সে অসুস্থ হয়ে পরে। এ অবস্থায় ছাত্রীকে যত্ন করার পরিবর্তে তিনি বাড়িতে চলে যান বলে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নেন খোদ-শিক্ষিকা। তিনি আরও স্বীকার করেন যে ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন সময় অত্যন্ত উত্তেজিত হওয়ার কারণে তিনি তাদের মারধর করেন । প্রশ্ন উঠছে এই ধরনের বদ মেজাজি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার দ্বারা এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার এবং মানসিক মান উন্নয়ন আদৌ কি সম্ভব? পরবর্তী সময়ে দপ্তরের আধিকারিকেরা ছুটে এসে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন। অভিভাবকরা সাফ জানিয়ে দেন এই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে অবিলম্বে এই বিদ্যালয় থেকে স্থানান্তর করার। এর পরই খুলে দেওয়া হয় বিদ্যালয়ের মূল ফটকের তালা।
What's Your Reaction?