প্রকাশ্যে বলপূর্বক গোহত্যার করানোর অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ BSF জোয়ানের বিরুদ্ধে

সিধাই থানার অন্তর্গত গোপালনগরে প্রকাশ্যে এক বৃদ্ধকে দিয়ে গোহত্যা করানোর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাটি কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নামের পুলিশ।

Apr 17, 2025 - 01:07
 0  94
প্রকাশ্যে বলপূর্বক গোহত্যার করানোর অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ BSF জোয়ানের বিরুদ্ধে
গোপালনগরে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর উস্কানিতে প্রকাশ্যে গোহত্যাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা।ছবি:- নিজস্ব

দ্যা ফ্যাক্ট :- সাত সকালে প্রকাশ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বী জনবসতিতে গাভী হত্যা। স্থানীয়দের সঙ্গবদ্ধ প্রতিবাদে বিষয়টি শুরুতেই মিটমাট হয়ে যায়। কিন্তু উর্দি গায়ে জড়িয়ে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কামিল খানের সাম্প্রদায়িক উস্কানিতে পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়। আক্রান্ত হয়েছেন গাভীর জবাইকারি। অভিযোগ বলপূর্বক বৃদ্ধকে দিয়ে গাভীর জবাই করানো হয়েছে। ঘটনা সিধাই থানার অন্তর্গত গোপালনগরে।

                       বুধবার সকালে সিধাই থানার অন্তর্গত গোপালনগর গ্রামে প্রকাশ্যে গোহত্যার ঘটনা ঘটে। এই এলাকার জয়নাল মিয়ার বাড়িতে করা হয়েছে গোহত্যা। বিষয়টি প্রকাশ আসতেই স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রকাশ্যে গোহত্যার প্রতিবাদ করে। এই এলাকাতে প্রায় তিন শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার রয়েছে। ইসলাম ধর্মাবলম্বী পরিবার রয়েছে প্রায় ৩০টি। এই ঘটনাস্থলে পূর্ব থেকে উপস্থিত ছিল ৪২ নং বাহিনীর সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জোয়ান অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কামিল খান। তিনি তুলাবাগান বিএসএফ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত। ঘটনাস্থলে উত্তেজক পূর্ণ কথাবার্তা শুরু করে এই বিএসএফ জওয়ান। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পোশাক গায়ে জড়িয়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এই বিএসএফ জওয়ান। তারপরই শুরু হয় উত্তেজনা। উত্তেজিত গ্রামবাসী গোমাতা হত্যাকারী জয়নাল মিয়াকে মারধর করে। এদিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়নাল মিয়া জানান তিনি গাভী হত্যা করতে চাননি। তার প্রতিবেশী আবু মিয়া, আক্রাম মিয়া, কামাল মিয়া, আলামিন মিয়া এবং আসমা বেগম উনাকে দিয়ে জোরপূর্বক গাভী হত্যা করিয়েছেন। এদিকে পরিস্থিতির বেগতিক দেখে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ঘটনা খবর পেয়ে অকুলস্থলে পৌঁছায় সিধাই থানার ওসি মঙ্গেশ পাটারি সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মী ও সিআরপিএফ। এই দিন থানার ওসির ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। তিনি কোনভাবেই যাতে বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি না পায় সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ওই জোয়ানের কারণে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow