সরকারি আবাসে রাতের আঁধারে জেলা শাসকের সাক্ষাৎ না পেয়ে ফিরলেন প্রদ্যুৎ
গোমতী জেলার জেলাশাসক তড়িৎকান্তি চাকমা সাথে রবিবার রাতে সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন প্রদ্যুৎ বিক্রম মানিক্য দেববর্মা। উনার সাথে ছিলেন টিটিএএডিসির সিইএম পূর্ণ চন্দ্র জমাতিয়া। জেলা শাসকের সাক্ষাৎ না পেয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে ফিরে এলেন প্রদ্যুৎ।

দ্যা ফ্যাক্ট :- গোমতী জেলা শাসকের সাথে ছুটির দিনের সাক্ষাৎ করতে গিয়ে নিরাশ হয়ে ফিরলেন প্রদ্যুত বিক্রম মানিক্য দেববর্মা। রবিবার রাতে জেলাশাসকের সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন প্রদ্যুৎ। কিন্তু উনার ডাকে সাড়া দেননি জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা।
গোমতী জেলার বিভিন্ন সমস্যাকে কেন্দ্র করে জেলাশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন প্রদ্যুৎ। রবিবার রাতে জেলাশাসকের সরকারি বাসভবনে টিটিএএডিসির সিইএম পূর্ণ চন্দ্র জমাতিয়াকে সাথে নিয়ে হাজির হয়েছেন সাক্ষাৎ করার জন্য। কিন্তু নিরাপত্তা কর্মী জানিয়ে দিয়েছেন তিনি সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন না। তারপরেও ইমারজেন্সি বিষয়ে আলোচনার জন্য জেলা শাসকের সাথে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন প্রদ্যুৎ। কিন্তু এতেও ভিজলো না চিরে। তিনি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রয়োজনে সরকারি বাসভবনে উনার সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাহলে জেলাশাসক কেন সাক্ষাৎ করতে চাইবেন না। এক্ষেত্রে প্রদ্যুৎ বাবু হয়তো বেমালুম ভুলে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। উনার সাথে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক লাভলাপের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু জেলাশাসক একজন আইএএএস অফিসার। উনার সাথে লাফলাভের কোন সম্পর্ক নেই। সুতরাং ছুটির দিনে, রাত্রিবেলা, সরকারি বাসভবনে জেলাশাসক কোনোভাবেই উনার সাথে সাক্ষাৎ করার ক্ষেত্রে বাধ্য নন।
প্রদ্যুৎ আরো অভিযোগ করেন বিগত একমাস যাবত জেলা শাসকের সাথে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করছেন তিনি। কিন্তু সাড়া দিচ্ছেন না জেলাশাসক। এই ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে যদি জনস্বার্থ সম্বলিত এবং ইমারজেন্সি কোন ইস্যু হতো সে ক্ষেত্রে এক মাস কেন অপেক্ষা করলেন প্রদ্যুৎ? আর যদি এক মাস অপেক্ষা করতেই পারেন তাহলে ছুটির দিন এবং রাতের আঁধার কেই কেন বেছে নিলেন সাক্ষাতের জন্য? এত সবের পরেও জেলা শাসকের সাক্ষাৎ না পেয়ে ফিরে এলেন প্রদ্যুৎ ও পূর্ণচন্দ্র।
What's Your Reaction?






