পাহাড়ের ভাগ্য হরণকারী আজ পাহাড়ের ভাগ্য বদল কারীর ভূমিকায়
পাহাড়ের উন্নয়ন স্তব্ধকারী বৈরী এখন উন্নয়নের বড় দাবিদার
দ্যা ফ্যাক্ট:-যারা বন্দুক হাতে দীর্ঘ বছর রাজ্যের পাহাড়ের উন্নয়নের রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে আজ তারাই পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলছে। এবং তাদের ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই তিপ্রা মথার মত দল পাহাড়ে অনেকটাই ফ্রন্ট ফুটে। এই সমস্ত প্রাক্তন বৈরী নেতারা বর্তমানে পাহাড়ের ভাগ্য নির্ধারণের পলিসি মেকার। ফলে সহজেই ধারণা করা যায় পাহাড়ের ভাগ্য প্রকৃত অর্থে কতটা পরিবর্তন হবে।
উত্তর পূর্বাঞ্চলের সর্বশেষ রাজ্য হিসেবে ত্রিপুরা দীর্ঘ বছর সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জর্জরিত ছিল। রাজ্যের পাহাড়জুড়ে সন্ত্রাসবাদীরা বছরের পর বছর যাবত নরসংহার চালিয়েছে। যেমনি বাঙ্গালীদের খুন করা হয়েছে। একইভাবে বহু জনজাতিগোষ্ঠীর মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ফলে। এই সন্ত্রাসবাদী নেতারা স্বাধীন ত্রিপুরা স্লোগান তুলে গোটা পাহাড়জুড়ে বাঙ্গালী নরসংহার চালালেও প্রকৃত অর্থে পাহাড়ের উন্নয়নমূলক কাজকর্মগুলো স্তব্ধ করে রেখেছিল। যার ফলে ত্রিপুরার পাহাড়ে উন্নয়নমূলক কাজ করতে চাইলেও করা সম্ভব হয়নি সরকারের পক্ষে। বর্তমানে প্রাক্তন বৈরী নেতা বিধানসভায় দাঁড়িয়ে যখন পাহাড়ে উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তখন তার বক্তব্য অনেকটাই হাসির রস যোগায় মানুষের মনে। প্রশ্ন উঠছে পাহাড়ে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে যে সন্ত্রাসবাদী নেতা দীর্ঘ বছর উন্নয়নকে আটকে রেখেছিল সে আজ কোন মুখে পাহাড়ে উন্নয়নকে ঘিরে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চরায়। এটা বাস্তব ত্রিপুরার পাহাড়ে সমতলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমান উন্নয়ন হয়নি। কিন্তু এই বিভেদের জন্যও ওই বৈরী দল গুলি সরাসরি দায়ী। আজ ওই বৈরী দলের নেতাদের এই বিষয়ে প্রশ্ন করার পরিবর্তে ভোটে জিতিয়ে বিধানসভায় পাঠিয়েছে খোদ পাহাড়ের জনগণ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে বৈরী নেতারা পাহাড়ের ভাগ্য তলানিতে নিয়ে ঠেকিয়েছে আজ তাঁদের দিয়েই পাহাড়ে ভাগ্য কতটা পরিবর্তন হবে?
What's Your Reaction?