উন্নয়ন ক্ষুধার কাছে পরাজিত উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি
এখনো পাহাড়ে লজ্জা নিবারণের ভরসা নেংটি
দ্যা ফ্যাক্ট:- রাজ্যের উন্নয়ন, উপজাতির উন্নয়ন, পাহাড়ের বিকাশ বা অনুন্নয়ন শব্দগুলো একেবারেই রাজনীতির ব্র্যান্ডে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ত্রিপ্রা মথা দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যুৎ বিক্রম মানিক্য দেববর্মা সামাজিক মাধ্যমে নেংটি পরা এক বৃদ্ধের সাথে সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করার পর রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু এসবের মাঝে অপ্রিয় হলেও সত্য পাহাড়ের নেংটি পড়া মানুষগুলোর কাছে আক্ষরিক অর্থেই উন্নয়ন এখনো এক আকাশ স্বপ্ন!
রাজন্য আমলের ত্রিপুরাতে পাহাড়ের উন্নয়ন বলতে কোন নজির নেই বললেই চলে। ভারতের সাথে যুক্ত হওয়ার পর ত্রিপুরার পাহাড়ের ভাগ্য পরিবর্তনের কাজ শুরু হয়েছে। তবে বরাবর ত্রিপুরার পাহাড় রাজ্যের রাজনীতির একটি মুখ্য কেন্দ্রবিন্দু হলেও উন্নয়নের দিক দিয়ে বরাবর পিছিয়ে রয়েছে এই পাহাড়। রাজ্যের কোন ক্ষমতাসীন সরকার কখনোই পাহাড়ে উন্নয়ন নিয়ে নিজেদের ব্যর্থতাকে স্বীকার করেনি। এটা সত্য সমস্ত সরকারই উন্নয়নমুখী কাজ করে। আবার এটাও সত্য স্বাধীনতার ৭৫ বছরেও ত্রিপুরার পাহাড়ে নেংটি পরে লজ্জা নিবারণ করতে হচ্ছে দেশের জনগণকে। বর্তমানে চাঁদে পৌঁছে গেছে ভারত। অর্থনীতির বিচারে গোটা পৃথিবীর কাছে ভারত একটি বিশাল বাজার। এত সবের পরেও যখন এই রাজ্যের মানুষ নেংটি পরে তার লজ্জা নিবারণ করতে হয় ব্যাটা অত্যন্ত পরিতাপের। সিপিআই(এম), জোট সরকার এবং বর্তমান বিজেপি আইপিএফটি তিপ্রামথা জোট সরকার প্রত্যেকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে পাহাড়ের উন্নয়নে কাজ করার দাবী রাখেন। কিন্তু এত সবের পরেও পাহাড় থেকে নেংটি পরা ছবিটা প্রকাশ্যে এসে সবকটি রাজনৈতিক দলের মুখেই ঝামা ঘষে দিল। বর্তমানে টিটিএএডিসির ক্ষমতায় রয়েছে প্রদ্যুৎতের দল। এই দলের সময়েও পাহাড়ের বিশেষ কোনো পরিবর্তন হয়েছে এমনটা ভাববার কোন অবকাশ নেই। রাজ্যের পাহাড়ের নেংটি পরা রবীন্দ্র ত্রিপুরারা জানতে চায় তাদের অবস্থার পরিবর্তন হতে আর কতটা নির্বাচন অতিক্রম করতে হবে তাঁদের?
What's Your Reaction?