NLFT ও ATTF-র সাথে সরকারের মৌ স্বাক্ষর, সন্ত্রাসবাদীদের হিরো বানাল প্রদ্যুৎ !
দিল্লিতে দুটি সন্ত্রাসবাদীর সংগঠন এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের মধ্যে মৌ স্বাক্ষর।
দ্যা ফ্যাক্ট :- এনএলএফটি ও এটিটিএফ এই দুই জঙ্গি সংগঠনের সাথে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে বুধবার। এই চুক্তির মাধ্যমে প্রায় ৩২৮ জন জঙ্গি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অন্যদিকে এমডিসি প্রদ্যুৎ বিক্রম মানিক্য দেববর্মা এই সন্ত্রাসবাদীরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়, জাতির পক্ষে লড়াই করেছে বলে জঙ্গিদের হিরো বানিয়ে দিলেন।
গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চল সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য চরম অস্থিরতার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত হচ্ছিল দীর্ঘ বছর যাবত। তার মধ্যে ব্যতিক্রম ছিল না ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরা। বুধবার এক ঐতিহাসিক চুক্তির মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এইদিন দিল্লিতে এটিটিএফ,এনএলএফটি, কেন্দ্রীয় সরকার এবং ত্রিপুরা সরকারের মধ্যে যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে এই দুটি সংগঠনের সন্ত্রাসবাদীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গীকার করেছে। এই দিন এই চুক্তি শেষে ত্রিপুরা মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা সমস্ত সন্ত্রাসবাদী সদস্য সদস্যদের রাজ্যের উন্নয়নে সামিল হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন এই চুক্তির মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৩৫ বছরের লড়াইয়ের অবসান হয়েছে। দুটি জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা দেশের সাধারণ নাগরিকের জীবন যাপন করার জন্য রাজি হয়েছেন। আগামী দিনে সরকারের তরফে চুক্তিতে যা যা উল্লেখ করা হয়েছে সমস্ত কিছু বাস্তবায়ন করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেছেন অমিত শাহ।
অন্যদিকে ত্রিপুরার টিটিএএডিসির এমডিসি প্রদ্যুৎ বিক্রম মানিক পদেবর্মা রীতিমতো সন্ত্রাসবাদীদের বিগত দিনের কার্যকলাপকে সাবাসি দিলেন। তিনি বলেন এই দুই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি। তারা জাতির পক্ষে লড়াই করেছে। প্রদ্যুৎ বাবুর এই বক্তব্য থেকে বিগত দিনে এই সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিরাপত্তা কর্মী নিরীহ মানুষের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাহলে এই সন্ত্রাসবাদীদের সাথে লড়াই করতে গিয়ে যে নিরাপত্তা কর্মীরা শহীদ হয়েছেন উনারাকি দেশ হিতে শহীদ হয়েছিলেন? না অন্য কিছু ছিল?
What's Your Reaction?