৩ রাউন্ড গুলি চালিয়ে পিস্তল ও গাঁজা সমেত গ্রেফতার রঞ্জন
নেশা বাণিজ্যের গন্ডি পেরিয়ে এবার আগ্নেয়াস্ত্রের আস্ফালন সিধাইয়ে

দ্যা ফ্যাক্ট অফ ত্রিপুরা:-গাঁজা ব্যবসায়ীদের ধরপাকড় করতে আত্মরক্ষার্থে লাঠির পরিবর্তে আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে হবে রাজ্য পুলিশকে। সুবল সিং পাহাড়ে নেশা কারবারীর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এই ধরনের সম্ভাবনা সৃষ্টি। বুধবার গভীর রাতে থানাধীন সুবল সিং পাহাড়ে তিন রাউন্ড গুলি চালিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এক নেশা কারবারি। উপযুক্তির নাম রঞ্জন দেববর্মা।
রাজ্য পুলিশ প্রতিনিয়ত আগ্নেয়াস্ত্রের পরিবর্তে লাঠি হাতেই কর্তব্য পালন করতে দেখা যায়। কিন্তু বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার এবং নেশা কারবারিদের ঘটনা সামনে আসার পর পুলিশের এই অভ্যাস পরিবর্তনের সময় এসেছে বলে দাবি সচেতন মহলের। অভিচরন এলাকার দীর্ঘদিনের পুড় খাওয়া গাঁজা ব্যবসায়ী রঞ্জন দেববর্মা বুধবার গভীর রাতে সুবল সিং এলাকায় যায়। নেশা কারবারের সাথে জড়িত থাকার কারণে ওই এলাকায় হামেশাই যাতায়াত রয়েছে তাঁর। গ্রামবাসীরা জানায় ওই গ্রামের এক দুশ্চরিত্রা মহিলার সাথে ফষ্টিনষ্টি করার সময় হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। দেওয়া হয় উত্তম মধ্যম। স্থানীয়দের হাত থেকে বাঁচতে অবৈধ পিস্তল থেকে তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে সে। যদিও এই ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয়রা তাঁকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাসলের ছুটে যায় সিধাই থানার ওসি সিদ্ধার্থ শংকর কর এবং এসডিপিও বিজয় সেন। পুলিশ তাকে আটক করার পাশাপাশি তার ব্যবহৃত গাড়ি থেকে ৪ কিলো গাঁজা উদ্ধার করে। এছাড়াও তার কাছে থাকা অবৈধ পিস্তলের ৯ রাউন্ড গুলি এবং গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানায় ওসি। রঞ্জন দেববর্মা কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তল দেশী ও কারখানায়। প্রশ্ন উঠছে সাধারণত পুলিশ যেভাবে লাঠি হাতে ডিউটি করতে দেখা যায় সেই ক্ষেত্রে রঞ্জন দের পিস্তলের মুখোমুখি হলে কি করবে পুলিশ? যদিও বুধবার রাতে আগে থেকেই পিস্তলের খবর পেয়ে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা রুজু করে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
What's Your Reaction?






