সিমনার কাঁটা ছড়ায় অর্থের বিনিময়ে নাড়ি কাঁটা সন্তান বিক্রি করল জন্মদাতা
১ নং সিমনা বিধানসভার অন্তর্গত কাটাছড়া গ্রামের নিবাসী এক পরিবার তোদের সন্তানকে বিক্রি করে দিল অন্যত্র। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিজের সন্তানকে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে মা বাবার বিরুদ্ধে। দাবি উঠছে সন্তান উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার।

দ্যা ফ্যাক্ট :- অর্থের বিনিময়ে নিজের সন্তান বিক্রি করলেন বাবা-মা। কাতলামারা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জন্ম হয়ে সন্তানের। হাসপাতাল থেকেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে শিশুসন্তানকে। ঘটনা ১ নং সিমনা বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত কাঁটা ছড়া গ্রামে। অভিযোগ জন্মদাতের সন্তানের বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে নগদ দেড় লক্ষ টাকা। এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
সংখার নিরিখে সিমনা বিধানসভা ১ নং হলেও উন্নয়নের দিকে এখনো অনেকটাই পিছিয়ে। অর্থের অভাবে হাসপাতাল থেকেই নিজের সন্তানকে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে মা-বাবার বিরুদ্ধে। গত ৩০ এপ্রিল কাতলামারা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সন্তান জন্ম দেন প্রসেনজিৎ দাসের স্ত্রী লক্ষ্মী রানী দাস। হাসপাতাল থেকেই খোয়াই এলাকার এক দম্পতির কাছে দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিজের সন্তানকে বিক্রি করার অভিযোগ উঠল মা-বাবার বিরুদ্ধে। রবিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে মা বাবা সন্তান বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে উনাদের চিকিৎসার জন্য কিছু অর্থ ওই পরিবার সন্তানের বিনিময়ে দিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন মা লক্ষ্মী রানী দাস। পাশাপাশি তিনি আরো জানান উনার গর্ভে এই সন্তান আসার পর তিনি সন্তানটিকে নষ্ট করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই দম্পতি সন্তানটি নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় তিনি সন্তান জন্ম দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি আরো জানান উনার ইতিপূর্বে দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। বর্তমানে আর্থিক অনটনের কারণে চার সন্তান প্রতিপালন করা দুষ্কর তাদের পক্ষে। এমনকি সন্তানের জন্য দুধ ক্রয় করে আনাও তার স্বামীর পক্ষে কষ্টকর বলে জানিয়েছেন তিনি। এই কারণেই স্বামী স্ত্রী মিলে সন্তানকে অন্যের হাতে হস্তান্তর করেছেন। অন্যদিকে একই বাড়িতে অবস্থান করা লক্ষ্মী রানী দাসের শাশুড়ি মা বাসনা দাস জানান হাসপাতাল থেকেই দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই সন্তানটিকে বিক্রি করা হয়েছে। যার ফলে উনার ছেলে এবং পুত্রবধূর সাথে চরম ঝগড়া হয়েছে উনার। অন্যদিকে এলাকাতে এই খবরটি প্রচার হতেই সচেতন মহল থেকে দাবি উঠছে সন্তানটিকে উদ্ধার করে সরকারি হোমে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। পাশাপাশি সন্তান বিক্রি এবং সন্তান ক্রয় করার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মামলা গ্রহণ করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করারও দাবি উঠছে এলাকাবাসীর তরফে।
What's Your Reaction?






