বহিরাগতরা প্ররোচনা দিতে এলে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার পরামর্শ মণ্ডল সভাপতি
দুর্গা বাড়ির চা বাগানের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের দাবিতে মাঠে নেমেছে বামেরা। শুক্রবার বামেদের আনা এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন বাবুটিয়ার মন্ডল সভাপতি শিবেন্দ্র দাস। শ্রমিকরা জানিয়েছেন বাগানে কাজ থেকে কোন ধরনের সুবিধা পাওয়া বকেয়া নেই তাঁদের।

দ্যা ফ্যাক্ট :- দুর্গা বাড়ির চা বাগানে শ্রমিক সমস্যা নিয়ে বামেদের অভিযোগকে মিথ্যাচার বলে উড়িয়ে দিলেন বামুটিয়ার মন্ডল সভাপতি শিবেন্দ্র দাস। শুক্রবার বৈঠক করলেন বাগানের শ্রমিকদের সাথে। স্পষ্ট বক্তব্য শ্রমিকদের দেনা পাওনা বকেয়া নেই। বহিরাগতরা বাগানে প্ররোচনা দিতে এলে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার নির্দেশ দিলেন মন্ডল সভাপতি।
সম্প্রতি দুর্গাবাড়ি চা বাগানে শ্রমিকদের মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে দুদিন দেরি হয়েছিল। ব্যাংকের সার্ভার জনিত কারণে অর্থ প্রদানে দেরি হয়েছে বলে ইতিমধ্যে স্পষ্টিকরণ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার শ্রমদপ্তরে প্রাক্তন সাংসদ শংকর প্রসাদ দত্তের নেতৃত্বে সিপিআই(এম) দলের নেতৃত্বরা ডেপোটেশন প্রদান করেন। উনারা অভিযোগ করেছিলেন বাগানের শ্রমিকরা মজুরি থেকে শুরু করে, ঘর, স্বাস্থ্যপরিসেবা, গ্রেচুয়েটি মানিসহ বিভিন্ন পরিষেবায় অনিয়ম রয়েছে। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে শুক্রবার বাগানের শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন মন্ডল সভাপতি শিবেন্দ্র দাস। এদিন তিনি শ্রমিকদের জানান বর্তমান সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করেছে। পাকা ঘর প্রদান, গ্যাস প্রদান থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে শ্রমিকদের। সুতরাং বহিরাগতদের কথায় কান না দিয়ে সঠিকভাবে বাগানের জন্য কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। শিবেন্দ্র দাস আরো জানান সিপিআইএমের সময়ে এই বাগানে বহিরাগতদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর একজনকেউ এই বাগানে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বাগানের শ্রমিক সন্তানদের এই বাগানে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। বাগানের গোটা পরিস্থিতিকে সিপিআই(এম) দলের নেতৃত্বরা নষ্ট করে দেওয়ার চক্রান্ত করছেন বলেও অভিযোগ মণ্ডল সভাপতি। তিনি শ্রমিকদের সাফ বার্তা দিয়েছেন বহিরাগতরা বাগানে প্রবেশ করে প্ররোচনা দিতে এলে তাদের দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার জন্য। শ্রমিকরা এদিন জানিয়েছেন বাগানের কাছ থেকে দেনা পাওনার ব্যাপারে কোন ধরনের বকেয়া নেই। বাগান কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবেই পরিচালনা করছেন বাগান।
অন্যদিকে বামুটিয়ার বিধায়ক নয়ন সরকার বাগান পরিদর্শন করেছেন শুক্রবার। কথা বলেছেন শ্রমিকদের সাথে। এদিন শ্রমিকরা দাবি করেন যেভাবে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে শ্রমিকদের মজুরি প্রদান শুরু হয়েছে এটি জারি রাখা হোক। পাশাপাশি ব্যাংক কর্মীরা বাগানে এসে মজুরি প্রদান করলে উনাদের সুবিধা হবে বলেও মন্তব্য করেছেন বাগানের চা শ্রমিকরা। তবে শ্রমিকদের দাবি দুর্গাবাড়ির চা বাগানকে কেন্দ্র করে বহিরাগতরা কোনভাবে যাতে রাজনীতি না করে। কারণ তাতে সরাসরি ক্ষতি হয় বাগান এবং শ্রমিকের।
What's Your Reaction?






