২ দিন পুলিশের দরজায় ঘুরে অভিযোগ দায়ের করতে পারল না ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক
কৃষকের উৎপাদিত ফসল কেঁটে নষ্ট করে দেওয়ার বিষয়ে পুলিশের দরজায় ঘুরে অভিযোগ দায়ের করতে ব্যর্থ কৃষক।
দ্যা ফ্যাক্ট :- বিগত ২ দিন পুলিশের দরজায় হেঁটে অভিযোগ দায়ের করতে পারল না ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। রাতের আঁধারে ফসলের গাছ কেঁটে দিয়েছে দুষ্কৃতী। বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে লেফুঙ্গা থানায় বিগত ২ দিন যাবত অভিযোগ দায়ের করতে হন্নি হয়ে ঘুরছেন বামুটিয়ার দক্ষিণ গাঙ্গুটিয়ার রায়চান সরকার। কিন্তু কর্তব্যরত পুলিশ রহস্যজনকভাবে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করল না। এক প্রকার নিঃস্ব কৃষককে মরন যন্ত্রণার দিকে ঠেলে দিল পুলিশ বাবুরা।
একজন কৃষক তার সন্তানের চাইতেও বেশি যত্ন করে ফসল উৎপাদন করান। রাতের আঁধারে এসে যখন সেই ফসল দুষ্কৃতীরা কেটে নষ্ট করে দেয় তখন মানসিক এবং আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ওই কৃষক। বামুটিয়ার দক্ষিণ রাঙ্গুটিয়া গ্রামের রায়চান সরকার কৃষি কাজ করে পরিবার প্রতিপালন করছেন। এরই মধ্যে উনার এক নিকটাত্মীয় অভিজিৎ সরকার শুক্রবার গভীর রাতে উনার উৎপাদিত শসা খেত কেটে নষ্ট করে দিয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই সুবিচারের আশায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির দ্বারস্থ হয়। কিন্তু বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির বড়বাবু অভিযোগ লিপিবদ্ধ না করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে লেফুঙ্গা থানায় পাঠিয়ে দেন। তিনি পরামর্শ দেন পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয় না। একপ্রকার বাধ্য হয়ে বড়বাবুর মিথ্যা নির্দেশিকা মেনে লেফুঙ্গা থানায় যান রায়চান সরকার এবং ওনার ছেলে। সেখানে গেলেও কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক অভিযোগ গ্রহণ করেননি। বাধ্য হয়ে রবিবার পুনরায় লেফুঙ্গা থানায় গিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। তখন লেফুঙ্গা থানার ওসি সহদেব দাস আশ্বাস দেন অভিযোগ গ্রহণ করার। কিন্তু খবর লেখা পর্যন্ত এই অভিযোগ লিপিবদ্ধ করিনি পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে একজন কৃষক আর্থিকভাবে চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ কি কারণে দোষীকে বাঁচিয়ে দেওয়ার কৌশল গ্রহণ করেছে? পুলিশের এই ভূমিকায় অত্যন্ত মর্মাহত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসহ এলাকার অন্যান্য কৃষকরা। একইভাবে মনোবল চাঙ্গা হচ্ছে অভিযুক্তের। এখন দেখার সর্বহারা একজন কৃষকের অভিযোগ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আর কতদিন হাঁটতে হয় এই কৃষককে।
What's Your Reaction?