বামুটিয়ায় পূজার অনুষ্ঠান মঞ্চে মহিলাদের পরিচালিত পুতুল নাচ (Puppet Dance) প্রশংসা কুড়ালো দর্শকের
চিরস্থা য়ী সিএলএফএর সদস্যরা ব্যতিক্রমী পুতুল নাচকে দর্শকের সামনে উপস্থাপন শুরু করেছেন। যথেষ্ট প্রশংসা অর্জনের সক্ষম হয়েছেন তারা। বামুটিয়া ব্লকের চিরস্থায়ী সিএলএফ এই পুতুল নাচকে আঁকড়ে ধরে লুপ্তপ্রায় সংস্কৃতিকে পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে এক নতুন পথের পথিক।

দ্যা ফ্যাক্ট :- লুপ্তপ্রায় সংস্কৃতিকে পুনরোজ্জীবিত করে মানুষকে বিনোদন প্রদানের ব্যতিক্রমী পথে যাত্রা শুরু করলো এক গোষ্ঠী মহিলা। পাশ্চাত্য সংস্কৃতি এবং আধুনিকতার নামে ভারতের ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচ (Puppet Dance) আজ হারানোর পথে। এই শিল্পকে পুনরায় মঞ্চে পরিবেশন শুরু করলো বামুটিয়া ব্লকের অন্তর্গত চিরস্থায়ী সিএলএফ। অষ্টমীর সন্ধ্যায় বামুটিয়ার বেড়ীমুড়া ব্রেইভ ক্লাবে ১২ জন মহিলা পুতুল নৃত্য শিল্পীর আঙ্গুলের কেরামতিতে পরিবেশিত পুতুল নাচ মুগ্ধ করল দর্শকদের।
ঠিক কোন সময়ে পুতুল নাচের সূচনা হয়েছিল তার সঠিক কোন লিখিত দলিল নেই। তবে ভারতের পাশাপাশি চিনে পুতুল নাচের উৎপত্তি প্রায় ২০০০ বছরেরও বেশি পুরোনো বলে মনে করা হয়। প্রাচীন গ্রন্থ ও ভাস্কর্য থেকে জানা যায়, মহাভারত ও রামায়ণের কাহিনি অভিনয়ের পাশাপাশি পুতুল নাচের মাধ্যমেও প্রচারিত হত। রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারসহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে এই শিল্পের আলাদা আলাদা ধারা বিকশিত হয়েছিল।
বর্তমানে ত্রিপুরাতে পুতুল নাচ প্রায় লুপ্ত বললেই চলে। এরই মধ্যে বামুটিয়া ব্লকের চিরস্থায়ী সিএলএফ এই শিল্পকে পুনরায় উজ্জীবিত করার প্রয়াস হাতে নেয়। রাজস্থান থেকে একদল পুতুল নৃত্য প্রশিক্ষককে বামুটিয়া এনে দেওয়া হয় প্রশিক্ষণ। সরকারি সহযোগিতায় মহিলারা এই শিল্পের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। বর্তমানে তারা বিভিন্ন স্থানে পুতুল নাচ পরিবেশন করে মানুষের মন জয় করতে সফল হয়েছেন। বিশেষ করে ছোটরা এই সাংস্কৃতিক পরিবেশন দেখে অত্যন্ত আনন্দিত হচ্ছে।
বামুটিয়ার বিড়ীমুড়া ব্রেইভ ক্লাবে দুর্গাপূজার অনুষ্ঠান মঞ্চে এই পুতুল নাচ দেখে ৬ থেকে ৬০ প্রত্যেকে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন। প্রশংসা কুড়িয়েছেন পুতুল নাচের সাথে জড়িত সমস্ত পুতুল নৃত্য শিল্পীরা। আগামী দিনে এই পুতুল নাচ গোটা ত্রিপুরাতে প্রত্যেকের সহযোগিতায় এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সাংস্কৃতিক চর্চার এক নতুন কনটেন্ট হওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
What's Your Reaction?






