ত্রিপুরার পুষ্পবন্ত প্রাসাদ রাজ পরিবারের সম্পদ, দাবি TWF-র

ত্রিপুরার পুষ্পবন্ত প্রাসাদের মালিকানা রাজ পরিবারের কাছে রয়েছে। বিতর্ক দাবি উত্থাপন হল তিপ্রামোথার মহিলা সংগঠন TWF-র তরফে।

Dec 5, 2024 - 09:46
Dec 5, 2024 - 11:20
 0  15
ত্রিপুরার পুষ্পবন্ত প্রাসাদ রাজ পরিবারের সম্পদ, দাবি TWF-র
পুষ্পবন্ত প্রাসাদে হোটেল নির্মাণের বিরোধিতা করতে গিয়ে মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন তুলল TWF।

দ্যা ফ্যাক্ট :- "পুষ্পবন্ত প্রসাদ রাজাদের ব্যক্তিগত প্রপার্টি। রাজ পরিবার এই বাড়িটি বিক্রি করেনি। ত্রিপুরা ভারতের সাথে যুক্ত হওয়ার পর এই প্রাসাদটি দেওয়া হয়েছিল গভর্নর থাকার জন্য। ফলে এখানে হোটেল নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না"। বুধবার সার্কিট হাউস এলাকায় তিপ্রামোথা(Tipra Motha )দলের মহিলা সংগঠন টিডাব্লিউএফ(TWF) এর গণবস্থান থেকে এই দাবি করা হয়েছে। যদি এই দাবির সঠিক হয়ে থাকে তাহলে এটা পরিষ্কার প্রদ্যুৎ নিজের স্বার্থে তার দল এবং দলীয় কর্মী সমর্থকদের ময়দানে নামিয়েছে। 

                        বেশ কিছুদিন যাবৎ পুষ্পবন্ত প্রাসাদে সরকারের হোটেল নির্মাণের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে যাচ্ছে প্রদ্যুৎ বিক্রম মানিক্য দেববর্মা এবং তার দল। প্রদ্যুৎতের তরফে দাবি করা হয়েছিল এই রাজপ্রাসাদে হোটেল নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। এটিকে সংরক্ষণ করতে হবে। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন পুষ্পবন্ত প্রাসাদকে অক্ষুন্ন রেখেই নির্মাণ করা হবে হোটেল। এরপরেও প্রদ্যুৎ এবং তার দল একি দাবিতে অনড়। 

            বুধবার সার্কিট হাউস এলাকায় টিডব্লিউএফ এর গণবস্থান অবস্থানে দাবি করা হয়েছে "পুষ্পবণত প্রাসাদ রাজ পরিবারের সম্পদ। এটিকে বিক্রি করা হয়নি"। ফলে এখানে হোটেল নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। যদি এই দাবি সত্য হয়ে থাকে তাহলে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে প্রদ্যুৎ বিক্রম মানিক্য তার নিজের সম্পদের জন্য এই ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি মঞ্চস্থ করছে! প্রশ্ন উঠছে নিজের স্বার্থে কোন ব্যক্তি একটি রাজনৈতিক দল এবং হাজার হাজার মানুষকে কিভাবে ব্যবহার করতে পারে? যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টিকরণ দিয়েছেন হোটেল নির্মাণকে কেন্দ্র করে পুষ্পবন্ত প্রাসাদের কোন ধরনের ক্ষতি হবে না তাহলে এই আন্দোলন কতটা যুক্তিসঙ্গত তানিয়েও উড়ছে প্রশ্ন? প্রশ্ন উঠছে যদি পুষ্পবণত প্রাসাদ প্রদ্যুত বিক্রমের ব্যক্তিগত সম্পদ হয়ে থাকে তাহলে কোন যুক্তিতে রাজ্যের হাজার হাজার তিপ্রামোথা কর্মী সমর্থকদের মাঠে নামানো হলো? তবে বুধবার গন অবস্থান কর্মসূচি থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে, তিপ্রামোথা এবং তার শাখা সংগঠনগুলো শুধুমাত্র পুষ্পবন্ত প্রাসাদ রক্ষা করার জন্য এই আন্দোলন করছে না। আন্দোলনের পেছনে ব্যক্তি স্বার্থ এবং বৃহৎ একটি স্বার্থ জড়িত রয়েছে। মোথার মহিলা সংগঠনের তরফে পুষ্পবন্ত প্রাসাদের মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে এটি রাজ পরিবারের সম্পদ। এই দাবি সত্য হলে, পূর্বের ইতিহাস থেকে এটা পরিষ্কার, পুষ্পবন্ত প্রাসাদে আরো একটি বিয়ে বাড়ি খোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অপেক্ষা মাত্র।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow