চা পাতা দিয়ে ত্রিপুরার পরিচিতি তুলে ধরার চেষ্টা হবে, লক্ষ্মীলোঙ্গায় বললেন TTDC-র চেয়ারম্যান
লক্ষ্মীলোঙ্গা চা বাগানের সম্পর্কিত চেয়ারম্যান
দ্যা ফ্যাক্ট :- চা বাগান চালাতে এসে শ্রমিকের টাকা আত্মসাৎ করে বাগান ছেড়ে পালিয়েছে বহু মালিক। কিন্তু টিটিডিসি এমনটা করবে না। কর্পোরেশন পরিচালিত সমস্ত বাগানে নতুন চারা রোপণ করা হবে, গেপ ফিলিং করা হবে এবং গুণগতমানের চাপাতা উৎপাদন করে জাতীয় স্তরে নজির তৈরি করা হবে। শুক্রবার লক্ষী লুঙ্গা চা বাগানে সংবর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে বলছিলেন টিটিডিসির চেয়ারম্যান সমীর ঘোষ।
তুফানিয়া লুঙ্গা চা বাগান এবং লক্ষ্মী লুঙ্গা চা বাগান যৌথভাবে টিটিডিসির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনা প্রদানের আয়োজন করে। দুই বাগানের শ্রমিকরা যৌথভাবে পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন সমীর ঘোষকে। এ অনুষ্ঠানে টিটিডিসির চেয়ারম্যান সমীর ঘোষ বলেন বিগত প্রায় ১১০ বছরের ইতিহাস এই রাজ্যের চা বাগানের। কিন্তু বিগত দিনে এই চা শিল্পকে সর্বভারতীয় স্তরে যেভাবে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তার ওপর কাজ করা হয়নি। অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ রাজ্যের চা শিল্পকে আরো দুরবস্থা নিয়ে পৌঁছে দিয়েছে। বর্তমান সরকার এবং টিটিডিসি রাজ্যের চা শিল্পকে সর্বভারতীয় স্তরে পৌছে দিতে এবং রাজ্যের একটি আলাদা পরিচিতি গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন বিশেষ করে টিটিডিসি যে সমস্ত বাগান পরিচালনা করছে সেই বাগানগুলোতে সমস্ত জমিতে চা গাছ রোপন করা হবে। এই চা ছাড়া চা বাগানে অন্য কোন চাষ করা হবে না বলেও ঘোষণা দিলেন সমীর ঘোষ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বামুটিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস, টিটিডিসির ডাইরেক্টর মানিক লাল দাস এবং অন্যান্যরা।
What's Your Reaction?