সুষ্ঠু নিয়োগ নীতির প্রভাব, ৩ লক্ষের বিনিময়েও জুটলো না অফার

সিমনা বিধানসভার নরেন্দ্রপুর চা বাগানের আমির মুন্ডা পুলিশের চাকরির জন্য বিশ্বজিৎ দেববর্মা নামে এক প্রতারককে দিয়েছিল ৩ লক্ষ টাকা। কিন্তু অফার না আসায় অভিযুক্তির বিরুদ্ধে পুলিশে নালিশ দিল আমির। সরকারের সুষ্ঠু নিয়োগ দিতে সিলমোহর।

Apr 9, 2025 - 23:29
 0  26
সুষ্ঠু নিয়োগ নীতির প্রভাব, ৩ লক্ষের বিনিময়েও জুটলো না অফার
টাকা দিয়ে বাঁকা পথে সরকারি চাকরি না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ করল বেকার যুবক। ছবি:- নিজস্ব

দ্যা ফ্যাক্ট :- তিন লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েও ঘরে এলো না ত্রিপুরা পুলিশের চাকরির অফার লেটার। অবশেষে টাকা ফেরত চেয়ে পুলিশের শরণাপন্ন চাকুরী প্রার্থী আমির মুন্ডা। ঘটনা সিধাই থানার অন্তর্গত নরেন্দ্রপুর চা বাগানে। সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হয়েছে বলে স্বীকার করলেন আমির। দাবি ঘোষ দাতা এবং গৃহিতা দুজনের বিরুদ্ধেই হোক আইনি প্রক্রিয়া।

                      রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে অসচ্ছ নিয়োগ-নীতির ফলে ১০৩২৩ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকুরী বাতিল করেছে আদালত। ২০১৮ সালে জোট সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সরকারের তরফ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নিয়োগ হবে স্বচ্ছ নীতিতে। হচ্ছেও তাই। সম্প্রতি একটি অভিযোগকে কেন্দ্র করে সরকারের এই দাবিটি সত্য প্রমাণিত হলো। সিমনা বিধানসভার নরেন্দ্রপুর চা বাগানের শ্রমিকের ছেলে আমির মুন্ডা। বেশ কয়েক মাস আগে ত্রিপুরা পুলিশে চাকুরী দেবার নাম করে তার কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বিশ্বজিৎ দেববর্মা। সিধাই থানার অন্তর্গত দাইগ্য বাড়ির নিবাসী বিশ্বজিৎ দেববর্মা। বাড়ির গৃহপালিত পশু বিক্রি করে তিন লক্ষ টাকা সরকারি চাকরির আশায় তার হাতে তুলে দিয়েছিল আমিরের পরিবার। অবশেষে ত্রিপুরা পুলিশের অফার ছাড়া হলেও আমিরের অফার আসেনি। বলা যায় স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই হয়েছে নিয়োগ। ফলে টাকা দিয়েও চাকরির অফার পেল না আমির মুন্ডা। এদিকে অফার না পেয়ে টাকা ফেরত চাইতে বিশ্বজিৎকে ফোন করে তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। অবশেষে বাধ্য হয়ে সিধাই থানাতে অভিযোগ করল আমির মুন্ডা। তার অভিযোগ তাকে প্রলোভন দিয়ে এই টাকা নিয়ে গেছে প্রতারক বিশ্বজিৎ দেববর্মা। এমনকি এলাকার আরো চার জনের কাছ থেকে এইভাবে বিশ্বজিৎ টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে বিশ্বজিৎ দাবি করছে সে সিমনা বিধানসভা এলাকার ৫ জনকে ত্রিপুরা পুলিশের চাকরি দেবে। তাদের কাছ থেকেই নগদ অর্থ নিয়েছেসে বিশ্বজিৎ। যাদের কাছ থেকে ত্রিপুরা পুলিশে চাকুরী দেবার নাম করে অর্থ নিয়েছে বিশ্বজিৎ তাঁদের মধ্যে কারোর কাছেই আসেনি অফার লেটার। হলে স্বাভাবিকভাবেই এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে নিয়োগ-নীতি হয়েছে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ প্রক্রিয়াতে। অর্থের বিনিময়ে হয়নি কোন নিয়োগ। যোগ্য প্রার্থীদের হাতেই গিয়েছে ত্রিপুরা পুলিশের অফার লেটার। আমির মুন্ডার দাবি বিশ্বজিৎ এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করুক পুলিশ। তবে এই ক্ষেত্রে সরকারি চাকরির জন্য ঘুষ দেওয়া এবং নেওয়া দুটোই অপরাধ। সে ক্ষেত্রে বিশ্বজিতের পাশাপাশি আমিরের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উঠেছে সচেতন মহল থেকে। 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow