বাল্যবিবাহ রোধে প্রাক বিয়ে রেজিস্ট্রেশন আনতে চলেছে সরকার, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যের নাবালক নাবালিকা দিয়ে কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। প্রশাসন প্রাথমিকভাবে উদ্যোগ নিলেও পরবর্তী সময়ে ঠিক বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। যারা এই বিয়ে সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে নেই আইনের পদক্ষেপ। এবার নাবালক নাবালিকা বিয়ে প্রতিহত করতে বিয়ের পূর্বে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আনতে চলেছে সরকার।

Jul 17, 2025 - 23:55
Jul 17, 2025 - 23:57
 0  29
বাল্যবিবাহ রোধে প্রাক বিয়ে রেজিস্ট্রেশন আনতে চলেছে সরকার, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
গান্ধীগ্রামে বাল্যবিবাহ প্রতিহত করতে এবং নেশা নেশা মুক্ত দেশ গড়তে সচেতনতামূলক কর্মসূচি সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।ছবি:- নিজস্ব

দ্যা ফ্যাক্ট :- "বাল্যবিবাহ রোধে প্রাক বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার পরিকল্পনা চলছে।রেজিস্ট্রেশন করার সময় বার্থ সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন নথিপত্র জমা করতে হবে। তার মাধ্যমে নিশ্চিত হবে বিবাহের পাত্র এবং পাত্রীর বয়স সম্পন্ন হয়েছে কিনা"। বৃহস্পতিবার গান্ধী গ্রাম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বাল্যবিবাহ প্রতিহত করতে এবং নেশা মুক্ত ভারত গড়তে এক বিশেষ সচেতনতামূলক কর্মসূচির উদ্বোধনী পড়বে বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা। 

              ত্রিপুরাতে বাল্যবিবাহ প্রতিনিয়ত জারি রয়েছে। মূলত পারিবারিক অজ্ঞতা, ছেলেমেয়েদের ভুল পদক্ষেপ এবং সর্বোপরি প্রশাসনের চরম ব্যর্থতাকে কেন্দ্র করে নাবালক এবং নাবালিকা বিয়ে নিয়মিত হচ্ছে। বিশেষ করে নাবালক এবং নাবালিকার বিয়ের খবর প্রশাসনের কাছে পৌঁছলে নামকাওয়াস্তে বিয়ের রুখার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। প্রায় সব কটি ক্ষেত্রেই প্রশাসনের আধিকারিকরা ফিরে যাওয়ার পর ঠিক বিয়ে হয়ে যায়। কারণ তারপর কোন খোঁজ খবর নিতে দেখা যায় না প্রশাসনিক আধিকারিকদের। এমনকি নাবালক এবং নাবালিকা বিয়ের সাথে যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে আইনিভাবে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় না। এমনকি যে নাবালক এবং নাবালিকার বিয়ে হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায় না প্রশাসনকে। অবশেষে এই বিষয়টি প্রতিহত করতে প্রাক বিবাহ রেজিস্ট্রেশন শুরু করতে চলেছে সরকার। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন নাবালক এবং নাবালিকা বিয়ে রোধ করার জন্য প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষকে এক যুগে কাজ করতে হবে। একটা নাবালিকা বিয়ে হওয়ার পর তার যে ধরনের সমস্যাগুলো তৈরি হয় সেগুলি সম্পর্কে তাদেরকে অবগত করতে হবে। 

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন রাজ্যের বেশ কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি নেশা কারবারের সাথে জড়িত। সমস্ত তথ্য প্রশাসনের কাছে রয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন একবার আইনের বেড়াজালে পড়লে কোনোভাবেই বাঁচতে পারবেন না। সময় থাকতে নেশা বাণিজ্য থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান করেছেন তিনি। পাশাপাশি ড্রাগসের কারণে যেভাবে রাজ্যের ছেলেমেয়েরা এইডসে আক্রান্ত হচ্ছে তাকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মানিক সাহা। বলেছেন ত্রিপুরাকে করিডোর করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে নেশা সামগ্রী পাচার করা হচ্ছে। সরকার এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তবে এই নেশা-বাণিজ্য একেবারে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠান মন্ত্রী পশ্চিম জেলার কৃতি শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে সম্মাননা। পাশাপাশি বিভিন্ন সিএলএফ গ্রুপকে আর্থিক অনুদানের চেক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

                   এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, বামুটিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান দীপক সিংহ, জেলাশাসক ডক্টর বিশাল কুমার, বামুটিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস সহ অন্যান্যরা।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow