বন্ধু বান্ধবীরা শ্যামলী গেস্ট হাউসে ফুর্তি করতে এসে উদ্ধার যুবকের মৃতদেহ
শ্যামলী গেস্ট হাউসে সহপাঠীদের সাথে জলসা করতে এসে উদ্ধার হল এক যুবকের মৃতদেহ। মৃতের নাম অনাদি দাস। মঙ্গলবার আগরতলার এপেক্স একাডেমির নামক কোচিং সেন্টারের কর্ণধার আয়োজন করেছিল এই জলসার। তবে এটি দুর্ঘটনা নাকি খুন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন? এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ সমস্ত সহপাঠীদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে।

দ্যা ফ্যাক্ট :- দুর্গা বাড়ি চা বাগানে শ্যামলী গেস্ট হাউসে বন্ধুদের সাথে পার্টি করতে এসে জলাশয় থেকে উদ্ধার এক যুবকের মৃতদেহ। তার নাম অনাদি দাস। মঙ্গলবার এপেক্স একাডেমি নামে একটি কোচিং সেন্টারের সহপাঠীরা এই গেস্ট হাউসে এসছিল পার্টি করার জন্য। যদিও এই ঘটনার সাথে জড়িত কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে প্রত্যেকের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ।
একসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হতো। পাশ্চাত্য সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে সে রীতির পরিবর্তন হয়েছে। আগরতলার মোটো স্ট্যান্ড এলাকার এপেক্স একাডেমি নামে একটি কোচিং সেন্টারের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের নিয়ে জলসার আয়োজন করা হয়েছিল শ্যামলী গেস্ট হাউসে। এই কোচিং সেন্টারে কর্ণধার দেবার্ঘ সাহা। মূলত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পাঠরত শিক্ষার্থীদের নিয়েছিল এই জলসা। এতে উপস্থিত ছিল রুদ্র দাস, শুভ্রনীল দেবনাথ, অঙ্কিত দাস, অরুপ সরকার, দেবজিৎ ভৌমিক, অনরুপা দেব, স্নিগ্ধা দেব, সিদ্ধার্থ, বারবি দেবনাথ, অনিন্দিতা দাস, শুভজিৎ দাস এবং অনাদি দাস। এই জলসা অর্গানাইজ করেছিল এপেক্স একাডেমির কর্ণধার দেবার্ঘ্য সাহা। এদিন দিনভর সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা রঙিন জলসায় মেতেছিল। মদ্যপান থেকে শুরু হয় নৃত্য,গান এবং হাতে হাত রাখা সবই হয়েছিল। এরই মধ্যে প্রথমে জলাশয়ে নামে অনাদি দাস। তার পেছনে অন্যরাও জলাশয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সবাই জলাশয় থেকে উপরে আসলেও অনাদি উপরে আসেনি। তার সাথে ছিল অপর এক যুবক। জলাশয় থেকে উপরে চলে আসে। কিন্তু অনাদি ফিরে না আসায় প্রায় ঘন্টাখানেক পর শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। এরই মধ্যে জলাশয় থেকে উদ্ধার হয়েছে তার মৃতদেহ। ঘটনাস্থলে আসে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনী। জলাশয় থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনার পেছনে কোন রহস্য রয়েছে কিনা সেটি খুঁজে দেখার চেষ্টা করছে তদন্তকারী পুলিশ। প্রাথমিকভাবে প্রত্যেকের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি শ্যামলী গেস্ট হাউসের সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসার। বুধবার সমস্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক নিয়ে এয়ারপোর্ট থানাতে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।
What's Your Reaction?






