পর পুরুষের হাত ধরে জঙ্গলে রাত কাটালো গৃহবধূ, অভিমানে আত্মহননের চেষ্টা স্বামীর
গৃহবধূর অবৈধ প্রেমে হতবাক হরেন্দ্র নগর
দ্যা ফ্যাক্ট অফ ত্রিপুরা:-ঘরে স্বামী সন্তান রেখে পর পুরুষের সাথে রাত কাটালো গৃহবধূ। রাগে অভিমানে আত্মহত্যার চেষ্টা সামীর। অবশেষে স্ত্রীকে বাড়িতে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত সর্বসম্মতিক্রমে। ঘটনা বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত তুফানিয়া লুঙ্গা চা বাগানে।
তুফানিয়া লুঙ্গা চা বাগানে বাগান কর্তৃপক্ষের অধীন কর্মরত বিশ্বজিৎ গুপ্তা বাগানের এক শ্রমিক গৃহবধুর সাথে অবৈধ প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। গৃহবধূর বক্তব্য অনুযায়ী ছয় মাসের বেশি সময় যাবত দুজনের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক রয়েছে। স্বামী একাধিকবার বিষয়টি বুঝতে পেরে স্ত্রীকে শাসন করেছেন এবং বুঝিয়েছেন। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। গৃহবধূ তার ইচ্ছামতই অবৈধ সম্পর্ক জিয়ে রেখেছিল। অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় স্বামীর সাথে ঝগড়া করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় গৃহবধূ। সারারাত খোঁজাখুঁজি করে তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। অবশেষে পাশের অপর গ্রাম থেকে তাকে খুজে পেতে সক্ষম হয়েছে স্থানীয়রা। এরই মধ্যে ওই রাতে গৃহবধুর নাগর বিশ্বজিৎ গুপ্তার সাথে রাতেই জঙ্গলের মধ্যে দুজনকে দেখতে পেয়েছিল স্থানীয়রা। অবশেষে পরদিন সকালে দুজনকে জঙ্গল থেকে বের হতে দেখে এলাকা বাসী। এরপরই দুজন গোটা রাতভর একসাথে থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে ফিরে আসে গৃহবধূ। এই বিষয়টি এলাকাতে প্রচার হতেই রাগে অভিমানে আত্মহত্যা চেষ্টা করে গৃহবধুর স্বামী। কিন্তু পরিবারের লোকেরা এবং স্থানীয়রা তাকে সান্তনা দেয়। শুক্রবার হরেন্দ্র নগর চা বাগান অফিসের সামনে শ্রমিকরা জড়ো হয়ে সিদ্ধান্ত করে এই গৃহবধূকে আর স্বামীর সাথে রাখা যাবে না। একইভাবে স্বামী ও তার সিদ্ধান্তে জানিয়ে দেন এই গৃহবধূকে নিয়ে সে আর সংসার করবেন না। গোটা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন গৃহবধূ। এমনকি বিশ্বজিৎ গুপ্তার সাথে রাত কাটানোর বিষয়টি প্রকাশের স্বীকার করলেন তিনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্বজিৎ গুপ্তার বিরুদ্ধে গোটা বাগান এলাকায় রীতিমতো ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এইদিন। পরবর্তী সময়ে বিশ্বজিৎ গুপ্তাকে এই বাগা থেকে অপসারণের দাবি তুল্লেন শ্রমিকরা।
What's Your Reaction?