নিখোঁজ যুবতী বহিঃ রাজ্যে বিয়ে করে জানান দিল স্বাধীনতার, আঁচলে চোখ মুছলো মা
উচ্চ শিক্ষিত হতে ঘর ছেড়ে সিঁথিতে সিঁদুর, গলায় মালা পড়লো যুবতী
সুমন মহলানবীশ,দ্যা ফ্যাক্ট:-মা অত্যন্ত শখ করে ইকফাই ইউনিভার্সিটিতে ওকালতি পড়তে পাঠিয়েছিল। পড়া ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে গিয়ে মন্দিরে বিয়ে করল যুবতী। অবশেষে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার সত্যতা উন্মোচন হলো মঙ্গলবার। যুবতীর নাম কোয়েল ঘোষ। কমলপুরের নিবাসী সে।
গত শনিবার আগরতলা যোগেন্দ্রনগর এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় কোয়েল ঘোষ নামে এক যুবতী। এই বিষয়ে পুলিশকে অবগত করার পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার হয়। যুবতীর মা চিন্তায় রীতিমতো আধমরা অবস্থা। যুবতীকে এক বুক স্বপ্ন নিয়ে ইকফাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে পাঠিয়েছিলেন তার মা। সবকিছু মোটামুটি ঠিকঠাকই চলছিল। এরই মধ্যে যোগেন্দ্রনগর এলাকা থেকে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে গোটা রাজ্যজুড়ে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার ছবি সমেত কলকাতা থেকে খবর আসে যুবতী বাড়ি থেকে পালিয়ে কলকাতায় নিজের ভালোবাসার মানুষের সাথে মন্দীরে বিয়ে করেছে। নিজের মার আশা, ভরসা এবং বিশ্বাসকে পদদলিত করে একজন সন্তান কিভাবে তার ঘর বাঁধে তার সাক্ষী থাকল গোটা ত্রিপুরাবাসী। একজন সন্তান হিসেবে তার মার সাথে যে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে কোয়েল তার পরিপ্রেক্ষিতে হয়তো আইনি কোন জটিলতা আসবে না। কারণ সে সাবালিকা। কিন্তু সন্তান হিসেবে তার মাকে যে যন্ত্রনা দিয়ে সিঁথিতে সিঁদুর পরলো এই যুবতী সন্তান হিসেবে মার প্রতি তার এই দায়িত্ববোধ দেখে রীতিমতো হতবাক সচেতন মানুষ। প্রশ্ন উঠছে তার কাছে পালিয়ে বিয়ে করাটাই কি শেষ কথা ছিল? প্রশ্ন উঠছে মায়ের চোখের জল ফেলে সিঁথিতে সিঁদুর পড়াটাই কি তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল? প্রশ্ন উঠছে যে মায়ের বিশ্বাস পদদলিত করে অন্য রাজ্যে গিয়ে মালাবদল করল কোয়েল আগামী দিনে অন্য মায়েরা পারবে তো নিজের মেয়েদের প্রতি এই বিশ্বাস অটুট রাখতে? এরপরেও হয়তো আঁচল দিয়ে চোখ মুছে দীর্ঘ নিঃশ্বাসে মা বলবে "ভালো থাকুক কয়েল"।
What's Your Reaction?