চট্টগ্রামে স্ট্রীট লাইট প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ, তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে স্ট্রীট লাইট কেলেঙ্কারির অভিযোগকে ঘিরে বৃহস্পতিবার দিনভর দুদকের অভিযান
দ্যা ফ্যাক্ট, বাংলাদেশ:- স্ট্রিট লাইট প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন। বৃহস্পতিবার দিন ভর চলে অভিযান।
২০১৯ সালে জাপানের দাতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম শহরে স্ট্রিট লাইট বসানোর জন্য সিটি করপোরেশন একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। এই প্রকল্পে দুই দফা দরপত্র দেওয়া হয়। এই দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনিয়মের সন্ধান পাওয়া যায়। যার জন্য বেশ কিছু নথিপত্র চেয়েছে তদন্ত কারী দল।
অভিযানের সময় নগরের টাইগারপাসে সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়ের চতুর্থ তলায় বিদ্যুৎ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশের কক্ষে যান। সেখানে প্রায় ৪ ঘণ্টা অবস্থান করেন।
সেখান থেকে প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যান। তবে ওই সময় প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম তাঁর কার্যালয়ে ছিলেন না বলে জানা গেছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের সহকারী পরিচালক এনামুল হক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন জাইকার অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পটিতে ঠিকদার নিয়োগে দুই দফা দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রথম দফায় যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল, তাদের সবাইকে বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু কী কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে, তার কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী। এরপর দ্বিতীয় দফায় পুনরায় দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়৷ কিন্তু ৬ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যে প্রতিষ্ঠানটি কাজ পেয়েছে, তার কাগজপত্র আছে। অন্যদের কাগজপত্র নেই৷ এসব কাগজপত্র ইতিমধ্যেই তলব করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
What's Your Reaction?