সিমনায় অটল স্মৃতির নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্টের নির্ণায়ক ম্যাচে জয়ী মেঘলি বন
" বর্তমান যুব সমাজকে মাঠে আনতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার বেপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ২০১৫ সালে খেলাধুলার জন্য যে বাজেট ছিল ২০২৫ সালে সেটাকে প্রায় ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে দেশের সমস্ত রাজ্যে খেলাধুলার পরিকাঠামো এবং পরিবেশ গড়ে তোলার কাজ করা হচ্ছে। সোমবার যুব মোর্চার সিমনা মন্ডল কমিটি আয়োজিত অটল স্মৃতি নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে উদ্বোধকের ভাষণে বললেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব।

দ্যা ফ্যাক্ট :- যুব মোর্চার সিমনা মন্ডল কমিটি আয়োজিত অটল স্মৃতি নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্টের নির্ণায়ক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে সোমবার। এই নির্ণীয়ক ম্যাচে মেঘলিবন চা বাগান এবং দাইগ্যাবাড়ি বাজার মুখোমুখি হয়েছে। এদিন এক শূন্য গোলের ব্যবধানে বিজয়ী হয় মেঘলিবন চা বাগান। ফুটবলে কিক মেরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফাইনাল ম্যাচের সূচনা করেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব।
যুব মোর্চা সিমনা মন্ডল কমিটি এই বছর নিয়ে দ্বিতীয়বার অটল স্মৃতির নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। সোমবার নির্ণায়ক ম্যাচে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে। এদিন ফাইনাল ম্যাচের উদ্বোধনী পড়বে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিমনা তমাকারি কেন্দ্রের এমডিসি তথা টিটিএএডিসির ইএম রবীন্দ্র দেববর্মা বলেন একটা সময় ছিল সিমনা এলাকাতে সন্ত্রাসবাদীদের চরম দৌরাত্ন ছিল। তখন এই ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি বদলেছে। এই ধরনের খেলাধুলার আয়োজনের মধ্য দিয়ে ছেলেমেয়েরা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে । এই দিন রবীন্দ্র দেববর্মা সাংসদর নিকট দাবী জানান ঈশানপুর এই মাঠে সাংসদ উন্নয়ন তহবিল থেকে একটি গ্যালারি নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য।
অন্যদিকে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সংসদ বিপ্লব কুমার দেব বলেন পূর্বতন সরকারের সময়ে খেলাধুলা নিয়ে তেমন কোন পরিকল্পনা ছিল না। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর দেশে এবং রাজ্যগুলোতে খেলাধুলা নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের খেলোয়াড়রা পুরস্কার হাসিল করতে শুরু করেছে। বিপ্লব দেব বলেন খেলাতে যেকোনো একটি দল পরাজিত হবে। আরেকটি দল জয়ী হবে। যে পরাজিত হবে তার হতাশ হওয়ার কোন ব্যাপার নেই। পুনরায় ভালোভাবে খেলে আরেকবার বিজয়ী হবে তারা। পাশাপাশি রবীন্দ্র দেববর্মা যে দাবি উত্থাপন করেছেন গ্যালারি নির্মাণের জন্য তার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এদিন ফাইনাল ম্যাচে মেখলিবন চা বাগান ১-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে দাইগ্যা বাড়ি বাজারকে। এদিন বিজয়ী দলকে দেওয়া হয়েছে ৭০ হাজার টাকার চেক। অন্যদিকে পরাজিত দলকে দেওয়া হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন সংসদ বিপ্লব কুমার দেব। এদিনের এই খেলার উদ্বোধনী পড়বে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রমন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা, যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি সহ দলের অন্যান্য নেতৃত্বরা।
What's Your Reaction?






