নখে নেলপালিশ, চোখে কাজল, মাথায় গোছানো চুল স্বামীর মৃত্যু নিয়ে স্পষ্টিকরণ কথাকলির
স্বামী মৃত্যুর ৫ দিন পর সাজুগুজু করে সামাজিক মাধ্যমে স্পষ্টিকরণ দিলেন স্ত্রী
দ্যা ফ্যাক্ট:- "সজনা হৈ মুঝে সজনাকে লিয়ে" ১৯৭৩ সালে লতা মঙ্গেশকরের কন্ঠে এই গান আজও জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। যদিও এই গান মূল প্রসঙ্গ নয়। গত ৫ই জানুয়ারি রানীবাজারে বিশ্বজিৎ সরকারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পাঁচ দিন পর সামাজিক মাধ্যমে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের স্পষ্টিকরণ দিলেন স্ত্রী কথাকলি চোহান। স্পষ্টিকরণ পর্বে উনার সাজ-সজ্জাকে ঘিরে এই গানের লাইনটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। বাঁ হাতের আঙুলে হলুদ রঙের নেলপালিশ,চোখের নিচে হালকা কাজলের রেস ও গোছানো চুলে বেশ সাবলীল দেখাচ্ছিল কথাকলিকে।
রানিবাজার এলাকায় নিজ ঘর থেকে বিশ্বজিৎ সরকারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বিতর্ক এখনো তুঙ্গে। সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন মৃতের স্ত্রী কথাকলি চৌহান।
ঘটনা দিন পর স্ত্রী স্বামীর এবং উনার ছবি দিয়ে সংক্ষেপে আত্মপক্ষ সমর্থনে একটি পোস্ট করেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাপক প্রতিবাদ এবং সমালোচনার মুখে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই পোস্ট প্রত্যাহার করেন কথাকলি। কিন্তু তারপরেও সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে উনার সমালোচনা কোনোভাবেই নিম্নমুখী হয়নি। বিশেষ করে নেটিজেনরা কথাকলির প্রোফাইলে ঢুকে উনাকে তীব্র সমালোচনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার পুনরায় নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে লাইভ করে স্পষ্টিকরণ দিলেন কথাকলি। গত ৫ তারিখ স্বামীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যখন সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলছিলেন তখন উনার বাঁ হাতের আঙুলে কোন চকচকে নেলপালিশ দেখা যায়নি। অথচ বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১১ তারিখ যখন সামাজিক মাধ্যমে কথা বলছেন উনার বাঁ হাতের আঙুলে হলুদ রঙের চকচকে নেলপালিশ, মাথায় গোছানো চুল,পরনে সাদা কালো নীল রঙের নাইট কোটে সাবলীল দেখা গেল কথাকলি চৌহানকে। বুঝা যাচ্ছিল স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি নিজেকে অনেকটাই গুছিয়ে নিয়েছেন। যদিও বেশ কয়েকবার এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আক্ষেপ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু এই আক্ষেপের ছবি বডি ল্যাঙ্গুয়েজে প্রকাশ হয়েছে বলে একজন ভিওয়ার্স কমেন্ট বক্সে লিখলেন না।
অন্যদিকে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের আঙ্গুল তুললেন, মৃত স্বামীর দিকেও আঙুল তুলতে পিছপা হননি তিনি। পিছপা হননি সংবাদ মাধ্যম এবং নেটিজেন্ডদের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলতে।
What's Your Reaction?