"কমিউনিস্ট পার্টি সন্ত্রাসবাদের মদত দাতা", ভারত পাকিস্তান ইস্যুতে কটাক্ষ রতনের
ভারত পাকিস্তান ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গে বামেরা রাস্তায় নেমে ভারতের বিরোধিতা করেছে। পাশাপাশি সমর্থন দিয়েছে পাকিস্তানের। এই বিষয়ে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলন বামেরা বরাবর আন্তর্জাতিক ইস্যুতে দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

দ্যা ফ্যাক্ট :- "কমিউনিস্ট পার্টি সন্ত্রাসবাদের মদত দাতা"। এরা ভারতবিদ্বেষী। অতীতেও ভারত চীন যুদ্ধে এই বামেরাই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গিয়ে চীনের পক্ষে ময়দানে নেমেছিল। পেহেলগাও সাধারণ নাগরিক খুন এবং ভারত পাকিস্তান ইস্যুকে বামেদের ভূমিকা কে কেন্দ্র করে শুক্রবার এই ভাবেই বামেদের আক্রমণ করলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
কাশ্মীরের পেহেলগাঁও এলাকায় পাকিস্তান মদত পুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের বরবরচিত আক্রমণে মোট ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনা পরিপ্রেক্ষিতে ভারত পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীর ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি। এই পরিস্থিতিতে দুটি দেশ যুদ্ধের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। গোটা ভারতবর্ষ যখন দেশের পাশে ঠিক তখনই পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীরা মাঠে নেমে পাকিস্তান প্রেম জাহির করছে। উগলে দিচ্ছে ভারত বিদ্বেষী মানসিকতা। শুক্রবার এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন আমাদের সেনাবাহিনীকে নিয়ে আমাদের গর্ব হয়। ভারতবর্ষের সমস্ত রাষ্ট্রবাদী মানুষ এই সময় দেশের সেনা এবং রাষ্ট্রের পাশে দাঁড়িয়েছে। অথচ বামপন্থীরা পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে। মন্ত্রী বলেন কমিউনিস্টরা কখনোই রাষ্ট্রবাদী না। এরা দেশকে ভালোবাসে না। ভারত চীন যুদ্ধে এই বামেরাই ভারতের পরিবর্তে চীনের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময় বলেছিল চীন ভারত আক্রমণ করেনি। ভারত চীনকে আক্রমণ করেছে। এদের এই রাষ্ট্রদ্রোহিতা অত্যন্ত পুরানো বলে অভিহিত করেছেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি কোন ধরনের রাগ ঢাক না রেখেই ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিকে সন্ত্রাসবাদীর মদত দাতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীরা রাস্তায় নেমে পাকিস্তানের পক্ষে গোলাবাজি করছেন তার তীব্র সমালোচনা করেছেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি আরো বলেন কমিউনিস্ট পার্টি সম্পূর্ণ ভারত বিদ্বেষী। তারা বিগত দিনে ও ভারতের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ইস্যুতে অবস্থান নিয়েছিল। এদের মধ্যে গণতন্ত্রের কোন চিন্তা ভাবনায় নেই। প্রাক্তন এটিটিএফ সুপ্রিম রঞ্জিত দেববর্মার উদাহরণ টেনে মন্ত্রী বলেন তিনি একসময় সন্ত্রাসবাদী ছিলেন। বর্তমানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হয়েছেন। এটাই ভারতের গণতন্ত্র। কিন্তু বামেরা বরাবর এই গণতন্ত্রের বিপরীত কুলে হাটে।
বামেদের এই ভূমিকার কারণেই দেশ থেকে এবং ত্রিপুরা থেকে এরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনে ভারতের জনগণ তাদের সম্পূর্ণরূপে বর্জন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন মন্ত্রী।
What's Your Reaction?






