ই অটো চালক ও কমান্ডার চালকদের সংঘর্ষ, প্রতিবাদে পথ অবরোধ
আগরতলা মোহনপুর সড়কে ই অটো চালকদের নিগ্রহ করার অভিযোগ কমান্ডার চালকদের বিরুদ্ধে। পুলিশি হস্তক্ষেপে দাবি স্থায়ী সমাধানের।
দ্যা ফ্যাক্ট :- মোহনপুর-আগরতলা সড়কে কমান্ডার চালকদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পথ অবরোধে বসলো ই-অটো চালকরা। সোমবার আগরতলা-মোহনপুর সড়কের শান্তিপাড়াতে করা হয় অবরোধ। পাশাপাশি এই সড়কে চলাচল করা কমান্ডার জীপ আটকে দিয়েছে ই-অটো চালকরা। যদিও পুলিশের হস্তক্ষেপে অল্প সময়ের মধ্যেই স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। এসডিপিও আশ্বাস দিয়েছেন দুপক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা নিরসনের।
মোহনপুর-আগরতলা সড়কে দীর্ঘদিন যাবত ই-অটো চালকদের ওপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে কমান্ডার চালকরা। রীতিমতো এই সড়কে মাফিয়া রাজ কায়েম করেছে কমান্ডার চালকরা। ই-অটো চালকরা অভিযোগ করেন, রবিবার এই সড়কে একজন ই-অটো চালককে ফটিকছড়া চা বাগান এলাকায় মারধর করেছে কমান্ডার চালকরা। পরবর্তী সময়ে অটো চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এদিকে কামালঘাটের ইকফাই ইউনিভার্সিটি সংলগ্ন এলাকায় পিনাকী ঠাকুরতা নামে এক ব্যবসায়ীকে রবিবার মারধর করার অভিযোগ উঠেছে একাধিক কমান্ডার চালকদের বিরুদ্ধে। পিনাকী ঠাকুরতা অভিযোগ করেন, প্রতিদিন ইউনিভার্সিটির সামনে দোকানে আসা যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি কমান্ডার জিপ রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকে। যার ফলে দোকানে গ্রাহক আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়। কমান্ডার চালকদের বললেও তারা ব্যবসায়ীদের উল্টো হুমকি দেন। যুক্তি দেখানো হয়, রোড ট্যাক্স দিয়ে গাড়ি চালাতে এসেছেন। অথচ এই কমান্ডার এবং ছোট গাড়ির জন্য মোহনপুরে রয়েছে মোটর স্ট্যান্ড। এরপরেও দোকান মালিকরা নিজেদের ব্যবসার স্বার্থে গাড়ি সরানোর দাবি করলে ব্যবসায়ী পিনাকী ঠাকুরতাকে রাস্তায় ফেলে রবিবার মারধর করার অভিযোগ উঠেছে অমিত মোদক এবং জয়রাম দেব নামে কমান্ডার চালকদের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে লেফুঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই কমান্ডার চালকদের অবৈধ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। যার ফলে তারা এই ধরনের অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছে। এ সমস্ত ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার আগরতলা-খোয়াই জাতীয় সড়কের শান্তিপাড়াতে পথ অবরোধ করার পাশাপাশি আগরতলা-মোহনপুর সড়কের সমস্ত কমান্ডার জিপ আটকে দেয় ই-অটো চালকরা। তাদের অভিযোগ, শুধুমাত্র আগরতলা-মোহনপুর সড়কের কমান্ডার চালকরাই তাদের হয়রানি করছেন। অন্য কোনো রুটের বা অন্য কোনো গাড়িচালকরা ই-অটো চালকদের কোনো ধরনের হয়রানি করছে না। যদিও সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন লেফুঙ্গা থানার ওসি সহদেব দাস। তিনি এসে অবরোধ মুক্ত করেন জাতীয় সড়ক। পরবর্তী সময়ে মোহনপুরে এসডিপিও সব্যসাচী দেবনাথ ঘটনাস্থলে এসে ই-অটো চালকদের সাথে কথা বলেন। উদ্যোগ গ্রহণ করেন দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করার। এরপরই নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
What's Your Reaction?