হেজামারায় মোথার আক্রমণে রক্ত ঝরলো বিজেপির
হেজামারয় বিজেপির সভায় আক্রমণ করল তিপ্রামোথা। রক্তাক্ত হয়েছেন দলের সহ-সভাপতি মঙ্গল দেববর্মা। আহত হয়েছেন কর্মরত সাংবাদিক কমলকান্তি ত্রিপুরা সহ আরো দুই একজন। আহতরা বর্তমানে জিবিপি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযোগ দায়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সিধাই থানায়।

দ্যা ফ্যাক্ট :- হেজামারায় প্রদ্যোৎতের লাঠিয়াল বাহিনীর আক্রমণে রক্ত ঝরলো বিজেপির। দুর্গাপূজা উপলক্ষে রবিবার সাংসদ বিপ্লব কুমার দেবের উপস্থিতিতে জনজাতি মহিলাদের মধ্যে পাছরা বিতরণের কথা ছিল। এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই মোথার সমর্থকরা সভাস্থলে অতর্কিত আক্রমণ করে। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি মঙ্গল দেববর্মার। আক্রান্ত হয়েছেন কর্মরত সাংবাদিক কমলকান্তি ত্রিপুরা। এই ঘটনায় মোট ১০ উভিযুক্তের বিরুদ্ধে সিধাই থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
হেজামারা কমিউনিটি হলে সাংসদ বিপ্লব কুমার দেবের উপস্থিতিতে জনজাতি মহিলাদের মধ্যে পাছরা বিতরণ কর্মসূচির প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে ছিল। এরই মধ্যে তিপ্রা মোথাদলের কর্মী সমর্থকরা সঙ্গবদ্ধভাবে আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ করলেন মঙ্গল দেববর্মা। তিনি বলেন মোথার প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন যুবক লাঠি নিয়ে আক্রমণ সংগঠিত করে। এদের আক্রমণে মাথা ফেঁটে গুরুতর আহত হয়েছেন মঙ্গল দেববর্মা। অন্যদিকে কর্মরত সাংবাদিক কোমল কান্তি ত্রিপুরা আহত হয়েছেন। নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেওয়ার পরও দুষ্কৃতীরা তাকে রেহাই দেয়নি বলে অভিযোগ করলেন কমল। পাশাপাশি তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। এছাড়ো আরো দু একজন অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন। গোটা ঘটনার বিরুদ্ধে সিধাই থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হল জেসমিন দেববর্মা, পনজিৎ দেববর্মা, শৈলেন দেববর্মা, মহেশ দেববর্মা, প্রণব দেববর্মা, সাগর দেববর্মা, অনিল দেববর্মা, সুশান্ত দেববর্মা, রণবীর দেববর্মা এবং আকাশ দেববর্মা। এই বিষয়ে একটি মামলা গ্রহণ করেছে সিধাই থানার পুলিশ। যদিও খবর করা পর্যন্ত কোন অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি।
What's Your Reaction?






