সিমনায় সিপিআই(এম) ও বিজেপিতে বড় ভাঙ্গন,৩৯৫ ভোটার তিপ্রা মথায়

দ্যা ফ্যাক্ট:-এক নং সিমনা বিধানসভাতে তিপ্রা মথার ঝরে নাস্তানাবুদ প্রায় সব কটি রাজনৈতিক দল। ১০৭ পরিবারের ৩৯৫ জন ভোটার যোগ দিলেন তিপ্রা মথায়। বিধায়ক বৃষকেতো দেববর্মা টিটিএএডিসির ইএম রবীন্দ্র দেববর্মা এবং অন্যান্য নেতৃত্ব বরণ করে নিলেন নবাগতদের।
                 সিমনা বিধানসভার পঞ্চবটি কমিউনিটি হল থেকে রবিবার বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা ঘোষণা দিলেন আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বিধানসভায় এলাকার পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ত্রিপ্রা মাথার ঝান্ডা উড়বে। সমস্ত পঞ্চায়েত জনপ্রতিনিধি তিপ্রা মথার দল থেকে নির্বাচিত হবে বলে দাবি করলেন বৃষকেতু। উল্লেখ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে এই কেন্দ্রের তিপ্রা মাথায় প্রার্থী বৃষকেতু দেববর্মা প্রায় ১৭০০০ ভোটে জয়ী হয়েছেন। জয়ের এই ব্যাপক সংখ্যা রীতিমতো বাড়তি অক্সিজেন যুগিয়েছে দলকে। সেই থেকেই উপজাতি মহল্লা থেকে শুরু করে অপজাতি এলাকাতেও যোগদানের ঝড় তুলেছে বৃষকেতুর টিম। প্রতিমাসে একের পর এক যোগদান সভার মধ্য দিয়ে রীতিমতো বিজেপি এবং সিপিআইএমের ঘর ভেঙে নিজের ঘরে সদস্য সংখ্যা বাড়াচ্ছে তিপ্রা মাথা। এদিনের এই যোগদান সভাতে বিধায়ক বৃষযকেতু দেববর্মা বলেন আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে পাঁচটি পঞ্চায়েত রয়েছে এই পঞ্চায়েত গুলোতে তিপ্রা মাথার প্রার্থীরা জয়ী হয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতে যাতে ব্যস্ত না হয়। তিনি পরামর্শ দেন আগামী পঞ্চাশ নির্বাচনের জয়ী হওয়ার পর নেতৃত্বরা মানুষকে পাশে নিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য। অন্যদিকে টিটিএএডিসির ইএম রবীন্দ্র দেববর্মা দাবি করেন উনি বিধায়ক থাকাকালীন সময়ে এবং বর্তমানে বিধায় থাকাকালীন সময়ে সিমনা বিধানসভা এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। কিন্তু এর মাঝের যে সমস্ত বিধায়করা এই এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের আমলে এই এলাকার কোন ধরনের উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ তুললেন রবীন্দ্র। এই মঞ্চ থেকে রবীন্দ্র দেববর্মা ঘোষণা দেন চলতি মাসেই সিমনা বিধানসভার পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন সমস্যা এবং দাবি-দাওয়াকে নিয়ে মোহনপুর আর ডি ব্লকে গণদেপোটেশন সংগঠিত করা হবে। এই গন ডেপোটেশনের মধ্য দিয়ে এলাকার দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন রবিন্দ্র দেববর্মা। এদিনের সভাতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তিপ্রা মোথার হেজামারা ব্লক প্রেসিডেন্ট নির্মল দেববর্মা,টিসিএফ প্রেসিডেন্ট প্রদীপ নন্দী , ডাব্লিউটিএফের নেত্রী শীবাঞ্জলি দেববর্মা এবং অন্যান্যরা।