প্রবল জনতার চাপে উদ্ধার নাবালিকা,শারীরিক পরীক্ষায় হয়রানি, অধরা উভিযুক্তরা
নাবালিকা তুলে নেওয়ার ঘটনায় দোষীদের অতিসত্বর গ্রেফতারের দাবি
দ্যা ফ্যাক্ট অফ ত্রিপুরা:-বামুটিয়ার ভোগজুর গ্রাম থেকে বলপূর্বক নাবালিকাকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় অবশেষে উদ্ধার নাবালিকা। প্রবল জন চাপের মুখে মঙ্গলবার গভীর রাতে নাবালিকাকে উদ্ধার করে আনল বামুটিয়া ফাঁড়ির পুলিশ। দাবি উঠছে অভিযুক্তদের অতিসত্বর জালে তোলার।
বাবা ছেলে এবং ঠাকুরমা মিলে নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার যে অভিযোগ উঠে এসেছে তাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই গোটা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা গেছে বামুটিয়ার বরজোস গ্রামের রাজেশ রায়ের নাবালক ছেলেকে বিয়ে করানোর উদ্দেশ্যে রাজেশের পিসি সাধনা রায় ( ত্রিপুরা পুলিশের কর্মরত) সমেত নাবালক ছেলে ও রাজেশ রায় মিলে নাবালিকাকে তার বাড়ি থেকে বলপূর্বক নিয়ে যায়। এই ঘটনায় সোমবার রাতে পুলিশে অভিযোগ করা হলেও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করেনি বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ি। অবশেষে এলাকার মানুষের ডেপুটেশনের মুখে অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয় ওই রাতেই। অভিযোগ মূলে সাধনা রায়কে রাতেই বামুটিয়া ফাঁড়িতে আটক করে নিয়ে আসে পুলিশ। যদিও পরে ওনাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জানা গেছে এসপি অফিসে উনাকে ক্লোজ করা হয়েছে। দাবি উঠছে নাবালিকা অপহরণ কান্ডে পুলিশি পোশাক গায়ে জড়িয়ে সরাসরি অপরাধ কান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযুক্ত সাধনা রায়কে অতিসত্বর সাসপেন্ড করার। কারণ তিনি দপ্তরে কর্মরত থাকলে তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করা সম্ভবনা রয়েছে। অন্যদিকে রাজেশ রায় এবং তার ছেলেকে অতিসত্বর গ্রেফতার করার দাবি উঠছে।
এদিকে বুধবার দিনভর জিবিপি হাসপাতালে নাবালিকাকে শারীরিক পরীক্ষনের পর বাড়ি পাঠায় পুলিশ। কিন্তু বিকেলেই পুনরায় হাসপাতাল থেকে ফোন আসে পুনরায় নাবালিকাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য। সেখানে যেতেই নাবালিকাকে আরো কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ভর্তি থাকতে বলা হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। প্রশ্ন উঠছে কি কারনে বা কার ভুলের কারণে দুই দিন নাবালিকাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে থাকতে হলো? গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে অতিসত্বর সঠিক তদন্তক্রমে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উঠেছে সচেতন মহল থেকে।
What's Your Reaction?