নিজেকে আগরতলার মালিক দাবি করা প্রদ্যুতকে ফ্রাস্ট্রেশনের বহিঃপ্রকাশ বলে কটাক্ষ করলেন সুদীপ রায় বর্ম
দিল্লিতে আগরতলা, তেলিয়ামুড়া এবং কাঞ্চনপুরের মালিক নিজেকে দাবী করেছিল ক্ষুদ্র প্রদ্যুৎ প্রমাণিক পদ দেববর্মা। ত্রিপুরার ইতিহাসে এই ধরনের হাস্যকর বক্তব্য সম্ভবত এই প্রথম পেশ করল প্রদ্য। ত্রিপুরার পাশাপাশি বহিঃ রাজ্যে ও এই বিষয়টি ব্যাপক হাসির খোরাক হিসেবে প্রচার হয়েছে। বিদ্যুতের এই বক্তব্যকে ফ্রাস্টেশনের বহিঃপ্রকাশ বলে কটাক্ষ করলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।

দ্যা ফ্যাক্ট :- দিল্লির জন্তর মন্তর থেকে নিজেকে আগরতলা, তেলিয়ামুড়া এবং কাঞ্চনপুরের মালিক দাবি করা মুকুটহীন প্রদ্যুৎকে ফ্রাস্টেশনের বহিঃপ্রকাশ বলে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। রীতিমতো প্রদ্যুতের এই বক্তব্যকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে হাসির ঝড় উঠেছে।
রাজ্য সরকারের জোট সঙ্গী তিপ্রা মোথার প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যুৎ বিক্রম মানিক্য দেববর্মা কিছুদিন বাদে বাদেই নতুন নতুন ইস্যু নিয়ে প্রচারের আলোতে থাকতে ভালোবাসেন। সর্বশেষ সংযোজন রাজ্যের মালিকানা নিয়ে। দিল্লিতে একটি সাংগঠনিক কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখছিলেন পm। হঠাৎ চিৎকার করে বলতে থাকেন এই আগরতলার মালিক কে? নিজেই উত্তর দিলেন আমি। আবার প্রশ্ন করলেন তেলিয়ামুরার মালিক কে? উত্তর দিলেন আমি। আবার চিৎকার করে প্রশ্ন করলেন কাঞ্চনপুরের মালিক কে? দলদনিজেই উত্তর দিলেন আমি। একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতার এই ধরনের বক্তব্যকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ট্রল হয়েছে প্রদ্যুৎ।
বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বলেন এই ধরনের বক্তব্য বহিঃপ্রকাশ ফ্রাস্টেশনের। এই রাজ্য আমাদের সবার। এই দেশ যেমন আমাদের একইভাবে রাজ্যে সমস্ত অংশে মানুষের সমান অধিকার রয়েছে ত্রিপুরার মাটিতে। বর্তমানে এটি রাজন নামল নয়। ভারত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। যদি প্রদ্যুৎ বাবু নিজেকে রাজন্য আমলের বলে দাবি করে থাকেন তাহলে এটি উনার ভ্রম। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে প্রদ্যুৎকে পথ দেখালেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।
What's Your Reaction?






