সিমনায় পুলিশি হেফাজতে অভিযুক্তকে আক্রমণ, এসিড নিক্ষেপ, আহত ৬
#Tripura police#police commissioner#Shimna assembly constituency#acid#FIR#police station
দ্যা ফ্যাক্ট ব্যুরো:-পুলিশের গাফিলতির সুযোগ নিয়ে পুলিশের হেফাজত থেকে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নিয়ে আক্রমণ। গুরুতর যখম অভিযুক্ত। করা হয় এসিড নিক্ষেপ। পুলিশ সমেত আহত ৬ জন। ঘটনা সিধাই থানাধীন সুন্দরটিলা পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত সিমনা বাজারে।
অভিযোগকারীর অভিযোগ করার পর রিসিভ কবি প্রদান না করা এবং তড়িঘড়ি উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ না করা ত্রিপুরা পুলিশের রক্তে মিশে গিয়েছে । অনেকটা গ্রাম্য সলিসি সভার ভূমিকা নিতে চাইছে রাজ্যের থানা গুলো। মূলত সুন্দরটিলা ফাড়ির পুলিশের এই ভূমিকা থেকেই দক্ষ যজ্ঞ কান্ড ঘটে সিমনা বাজারে। ঘটনা সূত্রপাত রবিবার। ঐদিন স্থানীয় শান্তনু গোয়ালা ও বিমল সাঁওতাল সিমনা বাজারে এসেছিলেন। পূর্বের এক চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাজারের ব্যবসায়ী পরিতোষ দাস শান্তনু এবং বিমলের উপর কাঁচের বোতল দিয়ে ব্যাপক আঘাত করে। এতে আহত হন দুজনেই। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুন্দরটিলা ফাড়িতে বিমল সাঁওতাল লিখিত অভিযোগ করেন পরিতোষ দাশের বিরুদ্ধে। পুলিশ আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের পরিবর্তে আশ্বাস দেন সোমবার সকাল ১০-টায় দুপক্ষকে ডেকে এনে কথা বলার। কিন্তু সকাল ১০ টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। ফলে আইনি সহযোগিতা না পেয়ে সোমবার দুপুরে পরিতোষ দাসের বাড়িতে চড়াও হয় বিমল সাঁওতালের পরিবারের লোকেরা। কিন্তু পরিতোষ বাড়িতে ছিল না। এই অবস্থায় পরিতোষের বাড়ি থেকে ফিরে আসে বিমল সাঁওতালের পরিবারের লোকেরা। এই খবর সুন্দরটিলা ফাড়ির পুলিশের কানে পৌঁছতেই তড়িঘড়ি পরিতোষ দাসকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। সিমনা বাজার দিয়ে অভিযুক্ত পরিতোষ দাসকে গাড়ি করে পুলিশ নিয়ে আসার সময় বাজারে পুলিশের গাড়ি আটকায় বিমল সাঁওতালের পরিবারের লোকেরা। পুলিশের হাত থেকে পরিতোষকে ছিনিয়ে নিয়ে ব্যাপক আক্রমণ চালায় বিমল সাঁওতালের পরিবারের লোকজনেরা। একসময় পুলিশ এই আক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হলে স্থানীয়রাও ছুটে আসেন। এই সুযোগে ভিড়ের মধ্যে এসিড নিক্ষেপ করে কোন এক দুষ্কৃতি। আক্রমণ এবং এসিড নিক্ষেপের কারণে প্রায় ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন পরিতোষ দাস, তপন দাস, সুবীর দাস, সাব ইন্সপেক্টর বিকাশ দেবনাথ, কনষ্টেবল রাহুল ঘোষ এবং এসপিও প্রাণেশ দেববর্মা। আহতদের সঙ্গে সঙ্গেই নিয়ে যাওয়া হয় কাতলামাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এই ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকাকে ঘিরে। কারণ রবিবার অভিযোগ করার পর পুলিশ কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। যদি পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করত তাহলে হয়তো এই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ঘটনাটি সংঘটিত হতো না।একই সঙ্গে এই ৬ জন আহত হবার ঘটনাও ঘটতো না। প্রশ্ন উঠছে অভিযোগ হাতে পাওয়ার পর আইন অনুযায়ী পুলিশের পদক্ষেপ গ্রহণের পরিবর্তে সোমবার দুপক্ষকে থানায় ডেকে আনার কি প্রয়োজন ছিল? প্রশ্ন উঠছে পুলিশি হেফাজতে থাকা অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নিয়ে আক্রমণ করার ঘটনায় অভিযুক্তকে নিরাপত্তা প্রদানের ব্যর্থ হওয়া পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তো দপ্তর? এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল ছড়িয়ে পড়ে সোমবার।
What's Your Reaction?