সাফল্য অর্জনের নেশায় দৃষ্টিহীনতা গৌণ,টেড-২ তে সর্বোচ্চ নাম্বার হাসিল করল বাপন
দৃষ্টিহীন হয়েও সবাইকে পেছনে ফেলে টেড-২ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বর হাসিল করেছে বাপন সূত্রধর। মোহনপুরের বিজয়নগর গ্রামে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে সংবর্ধনা দিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ।

দ্যা ফ্যাক্ট :- আত্মবিশ্বাস, চূড়ান্ত ইচ্ছা শক্তি এবং অদম্য পরিশ্রম শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকেও হার মানিয়েছে। টেড-২ পরীক্ষায় প্রথম স্থান দখল করেছেন বাপন সূত্রধর। মোট ৩২২৮৬ জনের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করা বাপন একজন দৃষ্টিহীন। শুধুমাত্র নিজের অফুরন্ত ইচ্ছা শক্তি শারীরিক দুর্বলতাকে হার মানিয়ে অর্জন করেছেন সাফল্য। বুধবার বিজয় নগরে তার বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
যে কখনো নিজ চোখে পৃথিবী দেখেনি, সে তার বিবেক এবং কল্পনা দিয়ে সাফল্য অর্জন করার স্বপ্ন দেখেছেন। আজ সে স্বপ্ন তার হাতের মুঠোয়। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে কলেজে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে শুরু হয়েছিল প্রতিবন্ধকতা। মন্ত্রী রতন লাল নাথ বাড়িয়ে দিয়ে ছিলেন সহযোগিতার হাত। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বাপন সূত্রধরকে। এদিন অকপটে মন্ত্রী এই সহযোগিতার কথা স্বীকার করল বাপন। মন্ত্রী নিজ হাতে তাকে উত্তরীয় পরিয়ে এবং ফুলের তোড়া দিয়ে অভিবাদন জানিয়েছেন। শারীরিকভাবে দুর্বল হয়েও তার যে সাফল্য তা অত্যন্ত গর্বের বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী। পাশাপাশি তার বাবা মা এবং পরিবার পরিজনদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মন্ত্রী। পাশাপাশি মন্ত্রী আরো বলেন মোহনপুর বিধানসভা এলাকাতে বাপন সূত্রধরকে আরো বড় পরিসরে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য একটি পরিকল্পনা রয়েছে। বাপন সূত্রধরের এই সাফল্য আবারো প্রমাণ করলো নিজের ইচ্ছাশক্তি এবং পরিশ্রমের কাছে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা হার মানতে বাধ্য।
What's Your Reaction?






