বামুটিয়ার বিনোদিনী চা বাগানে পামওয়েল চাষের উদ্যোগ মালিকের, আপত্তি জানালো শ্রমিকরা
বামুটিয়ার বিনোদিনী চা বাগানে রাবারের পর ( আন্ডার এস আর পি প্রজেক্ট)পামওয়েল বাগান গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে পামওয়েল চারা রোপনের জন্য গর্ত করা হয়ে গেছে। ঐতিহ্যবাহী এই চা বাগানের ভবিষ্যৎকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে ঠেলে দিয়ে বাগান কর্তৃপক্ষের এই ধরনের উদ্যোগের প্রতিবাদ জানিয়েছে শ্রমিকরা।

দ্যা ফ্যাক্ট :- রাবারের পর বিনোদিনী চা বাগানে পামওয়েল চাষ (PalmOilCultivation) করার উদ্যোগ নিল বাগান কর্তৃপক্ষ। এতেই বেঁকে বসলো শ্রমিকরা। চা বাগানের বৈশিষ্ট্য ধ্বংস করে অন্য কোন চাষ করার আপত্তি জানিয়েছেন শ্রমিকরা। অন্যদিকে এই বাগানে রাবার চাষের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। এই অবস্থায় বাগানে পামওয়েল চাষ হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি শ্রমিকদের।
গোটা রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী চা বাগান গুলোর মধ্যে বিনোদিনী চা বাগান(BinodiniTeaEstate) অন্যতম। অত্যন্ত প্রাচীন এই চা বাগান। দীর্ঘ বছর যাবত এই চা বাগানে গোটা চা শিল্পকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য উন্মাদ হয়ে গেছে বাগান কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১৫ বছর আগে এই বাগানে কয়েক লক্ষ রাবার গাছ রোপন করা হয়। বহু প্রতিবাদ, মামলার পরেও এই রাবার গাছগুলো থেকে উৎপাদন নিচে মালিকপক্ষ। বর্তমানে এই বিনোদিন চা বাগানে চা গাছ ধ্বংস করে দিয়ে পামওয়েল বাগান গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে একটি চা বাগানের বৈশিষ্ট্য নষ্ট করে দিয়ে কিভাবে পামওয়েলবাগান তৈরি করছে বাগান কর্তৃপক্ষ? যদি চা বাগানের মাঝখানে সেড ট্রি হিসেবে এই পামওয়েল গাছ লাগানো হয় তাহলে অন্তত পামওয়েল গাছ থেকে প্রায় চার মিটার জায়গা পর্যন্ত কোনো গাছ থাকতে পারবে না। কারণ পামওয়েল গাছের গোড়ায় সার জল দেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হয়। পাশাপাশি পাম ফল সংগ্রহের জন্য গোটা বাগান জুড়ে নির্মাণ করতে হয় রাস্তা। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিকাঠামো এবং বাগান তৈরি করতে গিয়ে যা কিছু চা গাছ বর্তমানে রয়েছে সেগুলোও ধ্বংস করার উদ্যোগ নিয়েছে বাগান কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই এই প্রক্রিয়া স্থগিত করার জন্য বাগানের শ্রমিকরা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু এতে মালিকপক্ষ কোনো কর্ণপাত করছে না। সূত্রে খবর যদি শ্রমিকদের মতামতকে অমান্য করে এই বাগানে পামওয়েল গাছ লাগানো হয় তাহলে সমস্ত পামওয়েল গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রমিকরা। কারণ এই চা বাগানে রাবার বাগান(RubberDispute) নির্মাণ করার পর আইনি প্রক্রিয়া শ্রমিকরা লড়াই করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ন্যায্য বিচার পায়নি। যার ফলে পামওয়েল বাগান তৈরি করার ক্ষেত্রে পূর্বের ভুল করতে চাইছে না শ্রমিকরা। এখন দেখার কোটিপতি মালিকপক্ষ সামান্য শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় নিজেদের সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করে কিনা।
What's Your Reaction?






